হাতে লেখাটি দিয়ে 'ভারতী’তে প্রকাশ করার ইচ্ছা জানান। এই হাতে হাতে ঘুরতে ঘুরতে লেখার শেষাংশটি লুপ্ত হয়। তখন তাঁরা বহরমপুরে চিঠি দিলে বিভূতি ভট্ট আমায় চিঠি দিয়ে অনুরোধ করলেন যে, বাকীটা না দিলে মুস্কিল দাঁড়িয়েছে। তার আগে সৌরীন্দ্রমোহনের চিঠি পেয়ে শরৎচন্দ্রকে জানান হয়েছিল এবং শরৎ মত দিয়ে ছিলেন। বুদ্ধি কোরে সৌরীন লেখকের নাম দেন নি।”
দত্তা
'দত্তা' ১৩২৪ সালের পৌষ থেকে চৈত্র সংখ্যা পর্য্যস্ত ও ১৩২৫ সালের বৈশাখ থেকে ভাদ্র সংখ্যা পর্য্যস্ত ‘ভারতবর্ষে' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পরে ১৩১৫ সালের ভাদ্র মাসে (২রা সেপ্টেম্বর ১৯১৮ খ্রীঃ) পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। ২০ অক্টোবর ১৯১৯ খ্রীঃ 'শরৎচন্দ্রের গ্রন্থাবলী'র প্রথম খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে বসুমতী সাহিত্য-মন্দির কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
চন্দ্রনাথ
চন্দ্রনাথ ১৩২৯ সালের বৈশাখ থেকে আশ্বিন সংখ্যা পর্য্যস্ত 'যমুনা’য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ১২ মার্চ ১৯১৬ খ্রীঃ পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন রায় এম. সি. সরকার বাহাদুর এও সন্স। এর চতুর্দ্দশ সংস্করণে নিম্নলিখিত বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়
“চন্দ্রনাথ গল্পটি আমার বাল্যরচনা। তখনকার দিনে গল্পে উপন্যাসে কথোপকথনে যে ভাষা ব্যবহার করা হইত এই বইখানিতে সেই ভাষাই ছিল। বর্ত্তমান সংস্করণে মাত্র ইহাই পরিবত্তিত করিয়া দিলাম। ইতি, ১৮ই আশ্বিন ১৩৪৪। গ্রন্থকার”
১৮ জুন ১৯২০ খ্রীঃ 'শরৎচন্দ্রের গ্রন্থাবলী'র তৃতীয় খণ্ডের অন্তর্ভূক্ত হয়ে বসুমতী সাহিত্য-মন্দির কর্তৃক প্রকাশিত।
‘চন্দ্রনাথে'র ছাপা নিয়ে বেশ গোলযোগের স্বষ্টি হয়। 'চন্দ্রনাথে'র পাণ্ডুলিপি সুরেন্দ্রনাথের কাছ থেকে উপেন্দ্রনাথের হাতে আসবার পর যমুনায় প্রকাশিত হবে বলে বিজ্ঞাপন বেরোয়। অসন্তুষ্ট সুরেন্দ্রনাথ উপেনবাবুর কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি ফেরত চেয়ে পাঠান। উপেনবাবুর কাছ থেকে পাণ্ডুলিপি নিয়ে সুরেনবাবু 'চন্দ্রনাথে'র পাণ্ডুলিপি রেঙ্গুনে শরৎচন্দ্রের নিকট পাঠালে, তিনি সংশোধন করে ফণীন্দ্র পালের কাছে ফেরত দিলেন যমুনায় প্রকাশের জন্য। ১৩ই জানুয়ারী, ১৯১৩ উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে লিখেছেন শরৎচন্দ্র: “...যদি চন্দ্রনাথ পাঠান সম্ভব হয় এবং সুরেনের যদি অমত না