विछिन्न ब्रक्रमांबलौ একটা মত অম্লখ করিত। সেবার দিল্লী ৰাইবার আগের দিন দেশবন্ধু আমাকে ডাকিয়া কহিলেন, কাল আপনার সঙ্গে উৰ্ম্মিলা যাবেন । আমি বলিলাম, যে আজ্ঞ, তাই হবে । দেশবন্ধু কহিলেন, হবে ত বটে, কিন্তু সন্ধ্যার পরে গাড়ি, কাল বিকাল নাগাদ আপনার অস্থখ করবে বলে মনে হচ্ছে না ত? আমি বললাম, স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, শক্রপক্ষীয়রা আপনার কাছে আমার নাম রটনা করেচে। তিনি কহিলেন, তা করেচে বটে, কিন্তু আপনি বিছানায় শোন, এরূপ সাক্ষ্যপ্রমাণও ত কই নেই ! আমার সেই ছেলেটির কথা মনে পড়িল। সে বেচারা বি. এ. পৰ্য্যস্ত পড়িয়াও চাকুরি পায় নাই। বড়বাবুর কাছে আবেদন করায় তিনি . রাগিয়া বলিয়াছিলেন যাকে চাকরি দিয়েচি, তার কোয়ালিফিকেসন বেশী, সে বি. এ. ফেল । প্রত্যুত্তরে ছেলেটি সবিনয়ে নিবেদন করিয়াছিল, জাঙ্গে, একজামিন দিলে কি আমি তার মত ফেল করতেও পারতাম না ? আমিও দেশবন্ধুকে বলিলাম, আমার যোগ্যতা অল্প, তারা আমীকে নিন্দা করে জানি, কিন্তু আমার শুধে থাকবার যোগ্যতাও নেই, এ অপবাদ আমি কিছুতেই নিঃশৰে মেনে নিতে পারব না । দেশবন্ধু সহাস্তে কছিলেন, না, আপনি রাগ করবেন না, আপনার সে যোগ্যতা তারা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করে । গয়া কংগ্রেস হইতে ফিরিয়া অভ্যস্তরিক মতভেদ ও মনোমালিন্যে তখন চারিদিক আমাদের মেঘাচ্ছন্ন হইয়া উঠিল, এই বাজলাদেশে ইংরেজী বাংলা যতগুলি সংবাদপত্র আছে, প্রায় সকলেই কণ্ঠ মিলাইয়া সমস্বরে তাহার স্তবগান শুরু করিয়া দিল, তখন একাকী উাহাকে ভারতের এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত যেমন করিয়া যুদ্ধ করিয়া বেড়াইতে দেখিয়াছি, জগতের ইতিহাসে বোধ করি তাহার আর তুলনা নাই । একদিন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, সংসারে কোন বিরুদ্ধ অবস্থাই কি আপনাকে দমাইতে পারে না ? দেশবন্ধু একটুখানি হাসিয়া বলিয়াছিলেন, তা হলে কি আর রক্ষণ ছিল ? পরাধীনতার যে আগুন এই বুকের মাঝে অহৰ্নিশি দলটে, সে ত এক মুহূত্তে আমাকে ভস্মসাৎ করে দিত। লোক নাই, অর্থ নাই, হাতে একখানা কাগজ নাই, আতি ছোট বাহারা তাহারাও গালিগালাজ না করিয়া কথা কহে না, দেশবন্ধুর সে কি অবস্থা ! অর্থাভাবে 象凉°