এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বাসন্তিকা
১১
রাজা। | তোমার শুন্তে ভুল হোয়েছে, রাণী। আজ নিখিল বাতাসে তোমার অভ্যর্থনা-গীতি ছড়িয়ে পড়েছে, বিহঙ্গের মুখে আজ তোমারই অভ্যর্থনী-কাকলী বেজে উঠেছে, লুব্ধ ভ্রমর পিয়ার বুকের মধু আকণ্ঠ পান কোরতে কোরতে গুঞ্জন-গীতিতে তোমাকেই স্মরণ কোরছে। ধন্যা তুমি রাণী, আর ধন্য আমি তোমায় পেয়ে। |
বাসন্তিকা। | কিন্তু আমার নিজের ত কোন বৈশিষ্ট্যই নাই। তুমি আমায় সাজিয়েছো যে সাজে, তুমি আমায় চাও যে ভাবে, সেই সাজে, সেই ভাবেই ত এলাম আমি ধরার বুকে, তোমায় ধরা দিতে। |
রাজা। | রাণী, আমি খেয়ালের বশে আমার ছয় ছয়টি রাণীকে ছ’রকম ভাবে, দৃশ্যে, কল্পনায় সাজিয়েছি, নিত্য-নূতনের আকিঞ্চনে। তা’দের প্রত্যেকের আগমনে ফুটে ওঠে আমারই অবিমৃষ্যকারিতার ফল,—মন আমার বিতৃষ্ণায় ভরে ওঠে তাদের সাহচর্য্যে; কিন্তু তুমি যখন আসো তখন মন আমার কানায় কানায় ভরে ওঠে। |
বাসন্তিকা। | কেন রাজা? নিত্য-নূতনের প্রলোভন কি তোমায় ভোলাতে পারে না? |
রাজা। | তা’রা হয়ত আমার নয়নের খেয়াল মেটাতে পারে, কিন্তু বিরাট ধরণীর তা’তে কি যায় আসে? রাজা আমি, তা’দের সুখ, ঐশ্বর্য্য, উন্নতিই আমার কাম্য। |
বাসন্তিকা। | কিন্তু এ ত তা’দের দোষ নয় রাজা। |