সেনাপতি গোপীপ্রসাদ নারায়ণের কন্যার সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। মহারাজ হয়ত ভাবিয়াছিলেন তাঁহার অবর্ত্তমানে অনন্ত ইঁহার নিকট সহায়তা পাইবেন কিন্তু ঘটনা দাঁড়াইল অন্যরূপ!
(৬)
অনন্তমাণিক্য
বিজয়মাণিক্যের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ত্রিপুরার রাজলক্ষ্মী যেন কিছুকালের জন্য অন্তর্হিতা হইয়া গেলেন। তাঁহার গৌরবে ত্রিপুরার যে আসন আকাশে উঠিয়াছিল তাঁহার জীবনান্তের সঙ্গেই উহা যেন ধূলিসাৎ হইয়া গেল। অনন্তমাণিক্য সিংহাসনে অভিষিক্ত হইলেন বটে কিন্তু গোপীপ্রসাদই সর্ব্বেসর্ব্বা হইয়া উঠিলেন।
দৈত্যনারায়ণের পুনরভিনয় চলিল। অনন্তমণিক্যের দুর্ব্বলতা চরমে পৌঁছিল, এমন কি আহার বিষয়েও তিনি স্বাধীন ছিলেন না, শ্বশুরের গৃহে যাইয়া খাইয়া আসিতেন। তাহাতে এইরূপ ধারণা জন্মিল যেন শ্বশুর খাইতে দেন বলিয়া তিনি খাওয়া পান। গোপীপ্রসাদের কন্যা বয়সে কচি হইলেও বুদ্ধিমতী ছিলেন। রাজাকে বলিলেন—শ্বশুরঘরে কে নিত্য খায়? রাজার পক্ষে খাওয়া ত কিছুতেই শোভে না। দুর্ব্বল অনন্তমাণিক্য উত্তর করিলেন—“না খাইয়া উপায় কি? যখন