ইয়াকুব আমার কথায় সায় দিয়ে ঘাড় নাড়লেন।
হিরাতে দেখার মত যদিও কিছুই ছিল না তবুও আমাকে থাকতে হয়েছিল ইরাণের ভিসা তখনও পাই নি। ইরাণ কন্সাল ভিসা দেই দিচ্ছি করে সময় কাটাচ্ছিলেন। একদিন ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম ইরাণ কন্সাল ভিসা দিচ্ছেন না কেন?
ডাক্তার বললেন ইরাণ স্বাধীন দেশ। ইরাণী কন্সাল হয়ত ভাবছেন আপনি একজন বৃটিশ স্পাই সেজন্যই ভিসা দিতে দেরী করছেন। আপনার পক্ষে অনেক কিছু জানতে হবে। যখন ইরাণ যাবেন তখন দেখবেন দক্ষিণ ইরাণে বৃটিশ সরকার কত রকমের জাল ফেলেছে। সেই জাল ফেলার কাজে আপনি যাচ্ছেন কি প্রকৃত পক্ষে ভ্রমণ করতেই যাচ্ছেন সে কথাই ভাবছেন।
ডাক্তারের কাছে এ সম্বন্ধে আর কিছু বললাম না। পরের দিন কন্সাল আফিসে যেয়ে অটোগ্রাফ বইখানা কন্সালের সামনে ফেলে দিয়ে বললাম “সম্মানিত মহাশয়! দয়া করে আমার ভ্রমণের অটোগ্রাফ বই দেখুন এবং আপনারও নাম সই করে দিন। কন্সাল মহাশয় অতি সাবধানে অটোগ্রাফ বইখানা দেখলেন। অটোগ্রাফ বই দেখতে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগেছিল। অটোগ্রাফ বই দেখার পর প্রসন্নচিত্তে তিনি আমার পাসপোের্ট ভিসা লিখে দিলেন। ইরাণ যাবার পথ পরিষ্কার হল দেখে আমি নিশ্চিন্ত মনে ঘরে ফিরে এসেছিলাম। এবার ইরাণ যাবার পালা। আফগানিস্থানের শেষ গ্রাম ইসলাম কিল্লা। সেই গ্রাম সম্বন্ধে পারস্য ভ্রমণে সবিস্তারে বলা হয়েছে।
—সমাপ্ত—