বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মেজদিদি - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 রাধারাণী গাঢ়ম্বরে জিজ্ঞাসা করিল, আবার কবে দেখা হবে দিদি?

 দেখা আর হবে না বোন। আর একটা ছোট বাড়ি আছে, সেইটে বিক্রী করে যত শ্রীব্র পারি চলে যাব। ভাল কথা, বলতে পাৱ ভাই, কেন হঠাৎ তিনি এতদিন পরে আমাকে স্মরণ করেছিলেন? যখন তাঁর লোক আমাকে ডাকতে যায়, তখন কেন একটা মিথ্যে নাম বলেছিল?

 লজ্জায় রাধারাণীর মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল, সে নতমুখে চুপ করিয়া রহিল।

 বিজ্‌লী ক্ষণকাল ভাবিয়া বলিল হয়ত বুঝেছি। আমাকে অপমান করবেন বলে, না? তা ছাড়া ত এত চেষ্টা করে আমাকে আনবার কোন কারণই দেখি নে।

 রাধারাণীর মাথা আরও হেঁট হইয়া গেল। বিজ্‌লী হাসিয়া বলিল, তোমার লজ্জা কি বোন? তবে তাঁরও ভুল হয়েচে। তাঁর পায়ে আমার শত-কোটী প্রণাম জানিয়ে বোলো, সে হবার নয়। আমার নিজের বলে আর কিছুই নেই। অপমান করলে, সমস্ত অপমান তাঁর গায়েই লাগবে।

 নমস্কার দিদি!

 নমস্কার বোন! বয়সে ঢ়ের বড় হলেও তোমাকে আশীর্ব্বাদ করবার অধিকার ত আর নেই- আই কায়মনে প্রার্থনা করি বোন, তোমার হাতের নোয়া অক্ষয় হোক। চললুম।


সমাপ্ত