Nvg \Rig হঁয়ামক কোথায় পাব। মশাই, পেয়েছিলাম একটা ভেড়ার খাঁচা। তাই ভাজা দেখাচ্ছে । ডাক্তারবাবু হা করিয়া চাহিয়া রহিলেন। বলিলাম, ডাক্তারবাবু, অধমও এই নরককুণ্ডেরই যাত্রী। কিন্তু দুর্বল বলিয়া এখানে ঢুকিতে পারি নাই ; সুরু হইতে ডেকের উপরেই ছিলাম । কাল সাইক্লোনের খবর পাইয়া খানিকটা সময় ভেড়ার খাচার উপরে বসিয়া, আর বাকী রাত্রিটা ফাস্টক্লাসের একটা ঘরের মধ্যে অনধিকার-প্ৰবেশ করিয়া আত্মরক্ষা করিয়াছি। কি বলেন, অন্যায় করিয়াছি কি ? সমস্ত ইতিহাস শুনিয়া ডাক্তারবাবু এমনি খুশি হইয়া গেলেন যে, তৎক্ষণাৎ তার নিজের ঘরের মধ্যে বাকী দুটো দিন কাটাইবার জন্য সাদরে নিমন্ত্ৰণ করিলেন। অবশ্য সে নিমন্ত্রণ আমি গ্ৰহণ করিতে পারি নাই ; শুধু ডেক-চেয়ারটা তঁহার লইয়াছিলাম। দুপুরবেলা, ক্ষুধার তাড়নে নিজীবের মত এই কেদারাটার উপর পড়িয়া ব্ৰহ্মাণ্ডের খাদ্য-বস্তুর চিন্তা করিতেছি- কোথায় গিয়া কি ফন্দি করিলে যে কিঞ্চিত খাদ্য মিলিবে, সেই দুর্ভাবনায় মগ্ন হইয়া আছি, এমন সময়ে খিদিরপুরের সেই মুসলমান দর্জিদের একজন আসিয়া কহিল, বাবু মশায়, একটি বাঙালী মেয়েলোক আপনাকে ডাকতেচে। মেয়েলোক ? বুঝিলাম, ইনি টগর। কেন যে ডাকিতেছেন, তাহাও . অনুমান করা কঠিন হইল না। নিশ্চয়ই মিস্ত্রীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর স্বত্বসাব্যস্ত ব্যাপারে আবার মতভেদ ঘটিয়াছে। কিন্তু আমাকে কেন ? Trial by ordeal ছাড়া বাহিরের লোক আসিয়া কোনদিন যে ইহার মীমাংসা করিয়া দিয়াছে, তাহা মনে করাও শক্ত । বলিলাম, ঘণ্টাখানেক পরে যাবো, বল গে। লোকটি কুষ্ঠিতভাবে কহিল, না বাবু মশায়, বড় কাতর হন্ধে ভকতেচে কাতর ? কিন্তু টগর তা আমার কাতর হবার মানুষ নয় । জিজ্ঞাসা করিলাম, পুরুষমানুষটি কি করচে ? লোকটি কহিল, তেনার বেমারির জন্যই ত ডাকতেচে।