নাই। যে ব্যক্তি বিদ্যা বুদ্ধি বিক্রম এই তিনে অসাধারণ হইবেক আমি তাহাকেই পতিত্বে বরণ করিব।
কিয়ৎ দিন পরে দেশান্তর হইতে চারি বর উপস্থিত হইল। রাজি তাহাদিগকে আপন আপন গুণের পরিচয় দিতে কহিলেন॥ তন্মধ্যে এক ব্যক্তি কহিল মহারাজ আমি বাল্যাবধি বহু যত্নে ও বহু পরিশ্রমে নানা বিদ্যায় কৃতকার্য্য হইয়াছি। আর আমার এক অসাধারণ গুণ এই যে প্রতিদিন একখণ্ড বহুমূল্য বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া পাঁচ রত্ন মুল্যে বিক্রয় করি। তাহার মধ্যে এক রত্ন সর্ব্বাগ্রে ব্রাহ্মণহস্তে সমর্পণ করি। দ্বিতীয় দেবসাৎ করিয়া তৃতীয় আপন অঙ্গে ধারণ করি। চতুর্থ ভাবী ভার্য্যায় নিমিত্ত স্থাপন করিয়া পঞ্চম দ্বারা নিত্য ব্যয় নির্বাহ করি॥ এই ওণ আমা ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তির নাই। আর আমার রূপের পরিচয় দিবার আবশ্যকতা কি মহারাজ প্রত্যক্ষ নিরীক্ষণ করিতেছেন। দ্বিতীয় কহিল আমি জলচর স্থলচর সমস্ত পশু পক্ষীর ভাষা জানি। আমার সমান বলবান্ ত্রিভুবনে আর কোন ব্যক্তি নাই। আর আমার রূপ আপনকার সম্মুখেই উপস্থিত রহিয়াছে। তৃতীয় কহিল আমি শাস্ত্রে অদ্বিতীয় আমার সৌন্দর্য্য সাক্ষাৎ দেখিতেছেন। আপন মুখে বর্ণন করিয়া নির্লজ্জ হইবার প্রয়োজন কি। চতুর্থ