সুধায় সুখে শোভায় সুরে কে রাখিল ভুবন পুরে!
এমন দয়াল বল কে ভাই, দেহ জীবন যে দিল রে।
দয়াল আমা দয়া করে, ধরায় জনম দিলেন মোরে,
মায়ের পরাণ দিলেন দয়াল, গলায়ে ভাই আমার তরে।
দয়ার ত নাই তুলনা রে, দয়ালকে ভাই ভুলো না রে,
দয়াল মোদের বাসেন ভালো, দয়াল বল বদন ভরে!
দক্ষিণী সুর। একতালা
বালক। বরষ পরে, পিতার ঘরে, মিলিনু সকলে;
বালিকা। চল সবে ভাই, সবে মিলে গাই, জয় পিতা বলে।
বালক। সুখের দিনে, দেখ গো প্রাণে, কতই বাসনা;
বালিকা। কত সাধ মনে, পিতার চরণে, করিব অর্চনা।
বালক। শিশু যে অতি, অল্পমতি, কি জানি আমরা;
বালিকা। তবু যাহা পারি, প্রাণপণ করি, চল করি ত্বরা।
বালক। দুঃখী লোকে, কব ডেকে, পিতার বারতা;
বালিকা। কব, “আঁখি মেল, দেখ দ্বারে এল জগতের পিতা।”
বালক। ভাই বোনেতে, তাঁর কাজেতে, কত সুখে রব;
'বালিকা। কত সুখে রব, কত কিছু পাব, সকলে দেখাব!
বালক। শিশুর কথা, শুনেন পিতা, কি তাঁর করুণা!
বালিকা। মোরা তারে ছেড়ে, পাপ-লোভে পড়ে কোথাও যাব না।
সকলে। শুন গো পিতা, তোমার হেথা, রাখ গো মোদেরে;
কভু তোমা ছেড়ে, নাহি যাব দূরে, সেবিব তোমারে।
না বুঝে কভু, দোষী প্রভু হলে ও চরণে;
ক্ষমো দয়া করে, বুঝায়ো স্নেহভরে, মধুর বচনে।
কি গুণ আছে, তোমার কাছে, পারি যাইবারে;
তুমি দয়া করে, নিলে যাব তরে; প্রণমি তোমারে!
সুর: “সকাতারে ঐ কাঁদিছে সকলে”
মিশ্র। কাওয়ালি
জাগো পুরবাসি, ভগবত-প্রেমপিয়াসি!
আজি এ শুভ দিনে কি বা বহিছে করুণা-রস-মধু-ধারা,
শীতল বিমল ভগবত-করুণা-রস-মধু-ধারা।
শূন্য হৃদয় লয়ে নিরাশায় পথ চেয়ে, বরষ কাহার কাটিয়াছে?
এস গো কাঙ্গাল জন, আজি তব নিমন্ত্রণ, জগতের জননীর কাছে।
কার অতি দীন হীন বিরস বদন?
(ও গো) ধুলায় ধুসর মলিন বসন?