পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(॥• ) একদিকে বাছাই করা সুবিধাভোগী কতকগুলি মানুষ, আর একদিকে অসংখ্য জনসাধারণ। ভদ্র-সাহিত্যএই বাছাই করা মানুষদের উপভোগের। সামগ্রী। জনসাধারণের মধ্য হইতে সাহিত্যস্রষ্টার উদ্ভব হইলে, ঐ ভদ্রলোকেরা তাহাকে উন্নীত করিয়া নিজেদের দলে গ্রহণ করিয়াছেন এবং সাহিত্যরচয়িতাগণ সুবিধাভোগী ও শক্তিশালী রাজন্তবর্গের গুণগান ও। তাহাদের মনতুষ্টি সাধন করিয়া, নিজেদের সামর্থের সার্থকতা সাধন করিয়াছেন। ইংলণ্ড প্রভৃতি যে সমুদষু দেশে, দলাদলির দ্বারা রাজ কার্য্য পরিচালিত হয়, সেখানে অনেক শক্তিশালী লেখক, কোন। রাজনীতিক দলের নিকট আত্ম-বিক্রয় করিয়াছেন এবং সেই দলের সেবায় নিজের শক্তি নিয়োজিত করিয়া পার্থিব সুবিধা ভোগ করিয়াছেন। সাহিত্যসাধনার এই অবস্থাসকল দেশেই দেখিতে পাওয়া যায়। এই প্রকারের অবস্থার মধ্যে কোন কোন কবি ব। সাহিত্য-।, জনসাধারণের সহিত থাকিয়া গিয়াছেন–র্তাহারা তথা কথিত ভদ্রলোকের দলে আসিতে পারেন নাই। ভারতবর্ষের ইতিহাসে বৈদিক-যুগে বা তাহার পরবর্তী যুগে, সাহিত্য সাধনার অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহা বলা বড় সহজ নহে এবং বর্তমান প্রসঙ্গে তাহার প্রয়োজনও নাই। কিন্তু বৌদ্ধ যুগে, যখন পালি ভাষায় এবং নানারূপ সরল উপাখ্যানের সাহায্যে তত্ত্বকথা প্রচারিত হইতে আরম্ভ হইল এবং তাহার পর প্রাকৃত ভাষায় রচিত কোনও দোহার দ্বারা জনসাধারণের সাহিত্যের ভিত্তি সংগঠিত হইতে আরম্ভ হইল, তখনই আমরা বুঝিতে পারি যে, জনসাধারণের জাগরণ হইয়াছে এবং সাহিত্য, সম্প্রদায় বিশেষের সম্পত্তিরূপে না থাকিয়া সর্বসাধারণের মহামিলনের আদর্শে উদ্রুদ্ধ হইয়াছে। প্রাচীন যুগের ভারতবর্ষে বৌদ্ধযুগে যেমন, মধ্য- যুগে আমাদের বাঙ্গালা দেশে অচৈতন্য মহাপ্রভুর উদ্ভব ও বৈঞ্চব-সাহিত্যের হাইও সেইরাপ। ভারতের অন্যান্ত প্রদেশেও ঠিক এই সময়ে এীচৈত্য