পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( /• ) করাই অক্ষয়কুমারের জীবনের সাধনা ছিল। ইউরোপ বা নব্যজগৎ তাহার নবীন উত্তম লইয়া, প্রাচীন ভারতের দুয়ারে উপস্থিত। ভারতবর্ষ, এই। নবসাধনার চাপে নিস্পেষিত হইয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হইবে, কিংবা জাগিয়া উঠিয়া এই নবসাধনকে আত্মসাৎ করিয়ানববলে বলীয়ান হইয়া সগৌরবে মাথা তুলিয়া দাঁড়াইবে—ইহাই সেদিনের সমস্ত৷ ছিল। ‘তৃত্ববোধিনী পত্রিকা', ধর্মতত্ত্ব প্রচারের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু নবযুগের ধর্ম ঠিক প্রাচীন যুগের ধর্ম্ম নহে। অক্ষয় কুমার ইহা বুঝিতেন এবং অক্ষয়কুমারের নেতৃত্বাৰীনে ইউরোপের সমুদয় বিদাকে আত্মসাৎ করিবার চেষ্টা, এই ‘তত্ত্ববোধিনীর’ মধ্য দিয়া আরম্ভ হয়।

মহামহোপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন–-বাঙ্গালীর ছেলেদের মধ্যে ইংরাজী ভাব প্রবেশ করান, সর্বপ্রথম অক্ষয়কুমার দত্ত দ্বারা সাধিত হয়। সে সময়ের একজন বড় অধ্যাপক Rev. John Anderson সাহেব বলিয়াছেন - Akhoykumar is Indianising European Science। অক্ষয়কুমার দত্তের বাণী সংক্ষেপে এই- “তোমরা চিন্তারাজ্যে স্বাধীন হও এবং প্রত্যক্ষ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য। বিশ্বকে আদর করিয়া বুঝিবার চেষ্টা কর। আজ এই বিশ্ববেদ তোমাদের গ্রহণীয়।” প্রাচীন বেদের প্রতি অন্ধ অনুরাগ, আমাদের সাধন শক্তিকে পঞ করিপ্পাছে বলিয়া অক্ষয়কুমার বিশ্বাস করিতেন। পূজা ও প্রার্থনা প্রভৃতির ভাবুকতা অতিমাত্রায় বর্ধিত হইয় আমাদের অকৰ্মণ্য করিয়াছে বলিয়া অক্ষয়কুমার বিশ্বাস করিতেন। তাই তিনি তাহার পৃষ্ঠপোষক দেবেন্দ্রনাথকেও বেদের অভ্রান্ততা বিষয়ক ধারণা হইতে বিমুক্ত করিয়াছিলেন এবং অমিত সাহসের সহিত প্রার্থনার আবশ্যকতা অস্বীকার করিয়াছিলেন।

স্বাধীন চিন্তার পরিণাম কি? সংস্কারমুক্ত বুদ্ধি মানুষকে কোথায় লাইয়া যাইবে? স্বাধীন চিন্তার সহিত নাস্তিকতাউচ্ছ স্বলতা, বিজাতীয়