পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১J• ) ইহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু অক্ষয় কুমার দত্ত সে শ্রেণীর লেখক নহেন। প্রকৃত সাহিত্যিক বা প্রাণময় প্রজ্ঞা বলিতে আমরা যাহা বুঝি, অক্ষয়কুমার। দত্ত সৰ্বতোভাবে সেই শ্রেণীর সাহিত্যরচয়িতা। সুতরাং, র্তাহার বা তাহার ষ্ঠায় সুলেখকের রচনান্য সংস্কৃত-শবের বহুল প্রয়োগ কেনই বা হইয়াছে, এবং তাহার ফলে আমরাই বা কি পাইয়াছি, তা তার বিচার করিতে হইবে। জনসাধারণের মধ্যে সচ্চিন্ত৷ উদ্রিক্ত করিয়া, বর্ত্তমান জগতের যাবতীয় উন্নততর বিষয়ের সহিত দেশবাসিগণকে পরিচিত করিয়া, তাহাদের। মনোবৃত্তির ও হৃদয়বৃত্তির অনুশীলন যাহাতে উত্তমরূপে সাধিত হয়, তাহারই জ্য অক্ষয়কুমার সাহিত্যের সাধনা করিয়াছিলেন॥ কোনও রাজসভায়। বসিয়া, পৃষ্ঠপোষক সৌখীন ব্যক্তিগণের সাময়িক আনন্দ বিধানের জষ্ঠ্য তিনি। সাহিত্য রচনা করেন নাই। অক্ষয়কুমারের সাহিত্যসর্ব্বতোভাবেই। জনসাধারণের সাহিত্য। জনসাধারণের সাহিত্যে, কথঞ্চিৎ দুর্বোধ্য সংস্কৃত শবের বহুল প্রয়োগ কেন, এরূপ প্রশ্ন, বর্ত্তমান সময়ে কাহারও কাহারও মনে জাগিতে পারে। কাজেই ইহার উত্তর আবক। অক্ষয়কুমার এবং তাহার যুগের যাবতীয় সুলেখকগণের হৃদয়ে অতীত ভারতের প্রতি একটি অতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তির ভাব পরিলক্ষিত হয়। ভারতবর্ষের প্রাচীন আর্য্যজাতির প্রতিভা, মনীষা ও মহত্ত্ব তাহাদিগকে অতিমাত্রায় বিমুগ্ধ করিয়া ছিল এবং তাহারা মর্ম্মে মর্ম্মে অনুভব করিতেন যে, আমাদিগকে ঘদি আবার মানুষ হইতে হয়, আমাদের হৃত গৌরবের যদি উষ্কার সাধন করিতে হয়, তাহা হইলে সেই অতীতের সহিত অতি উত্তম রূপে পরিচিত হইতে হইবে। সেই অতীতের রসে স্বাদয়ক্ষেত্র সরস করিয়া, সেই অতীতের আলোকে পথ আলোকিত করিয়া অগ্রসর হইতে হইবে। কিন্তু সেই অতীতকে আয়ত্ত করিবার উপায় কি? সংস্কৃত সাহিত্যের সহিত উত্তমরূপে পরিচয়ই ইহার প্রথম ও প্রধান উপায়। আমরা বাঙ্গালী