পাতা:অক্ষয়-সুধা - অক্ষয়কুমার দত্ত.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ অক্ষয়-ক্ষুধ৷ নিমিত্ত যে প্রমাণ ভোজ-ভোগ্য সামগ্রী প্রয়োজনীয়, তাহ উৎপন্ন ও প্রস্তুত করিতে অধিক পরিশ্রম আবশ্যক করে না। মনুষ্যেরা আপনাদের অতি প্রবল ভোগাভিলাষ চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত। সৰ্ববিধ লোকের অশেষবিধ অনাবশ্যক দ্রব্যও আবখ্যক করিয়া তুলিয়াছে। পরিশ্রম,করা কর্তব্য। সেই সমুদায় আহরণার্থ ভোগাভিলাষী দিগকেও অধিক অর্থব্যয় করিতে হয় এবং যাহারা উৎপন্ন ও প্রস্তুত করে, তাহাদিগকে অতিরিক্ত পরিশ্রম স্বীকার করিতে হয়। যদি লোকে ঐ সমস্ত নিম্প্রয়োজন দ্রব্য লাভের অভিলাষ পরিত্যাগ করে এবং সকলে প্রতিদিবস নানাধিক এক প্রহর কাল পরিশ্রম করে, তাহা হইলে সুথ-স্বচ্ছন্দে লোকযাত্রা নিৰ্বাহ হইবার কোন ব্যতিক্রম ঘটে না। সকলের জীবনযাত্রা নির্বাহার্থে সাধ্যানুসারে কন্ন করা উচিত এবং যে সমস্ত জীব সমাজবদ্ধ হইয়া বাস করে, তাহাদের মধ্যে প্রত্যেকের স্বীয়। সমাজের কোন না কোন প্রকার হিতকর কর্ম্মে পরিএম সাহচয্যের প্রবৃত্ত থাকা বিধেয়-—এই কল্যাণকর নিয়ম সর্বত্র প্রচলিত দেখা যায়। জগৎপিতা জগদীশ্বর যাবতীয় উদাহরণ তবভকত ও জস্থকে তাহাদের জীবনযাত্রা নির্বাহোপযোগী সামর্থ্য দিয়াছেন। সকল সিংহই আপন আহার অন্বেষণ করে, এবং প্রত্যেক বীবরই নিজ নিকেতননির্ম্মাণ-বিষয়ে সহায়তা করে॥ যে সকল জীব শ্রেণী- ভূক্ত হইয়া এক এক শ্রেণী এক এক কর্ম্মে প্রবৃত্ত থাকে, তাহাদের মধ্যে একটিও বিনা পরিশ্রমে কালহরণ করে না; সুতরাং অ্যদীয় আনুকূল্যের উপর নির্ভর করিয়া থাকে না। মধুমক্ষিকাদির মধ্যে কতকগুলি মধূখ আহরণ করে, অপর কতকগুলি মধুচক্র নির্মাণ করে, অবশিষ্ট কতকগুলি মধু সঞ্চয় করিতে প্রবৃত্ত থাকে। কি দুঃখের বিষয়! মনুষ্যেরা এই সমস্ত প্রত্যক্ষসিদ্ধ ব্যাপার দেথিয়াও, পরমেশ্বরের স্পষ্টাভিপ্রায় অবগত হন না এবং