পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8Ꮼ অধ্যাপক হয়ে আসছে শিথিল, আমাদের চেতনা হয়ে আসছে তন্দ্রাযুক্ত । আমরা চলেছি আসন্ন মৃত্যুলোকের দিকে ভেসে ।” অজয় একটু অসহিষ্ণুভাবে বল্লে—“আজ যদি ইংরেজ আমাদের CEZoo Boi' of $ what about our II.indu-Moslem communal strife ? আমরা একদল আর একদলের টুটি ছিড়ে ASF AfT Al like a pack of blood-hounds ?” কানাই বল্লে—“সেটা একটা স্বতন্ত্র কথা, তবে একটা বড় কথা সন্দেহ নেই । আর্য্যেরা যখন ভারতবর্ষে এসেছিলেন তখন এই প্রশ্নটা তাদের সামনে এসে দাড়িয়েছিল । র্তারা এসে এমন দেশে উপস্থিত হলেন যে দেশে একদিকে ছিল সুসভ্য অস্বরেরা আর একদিকে ছিল অসভ্য দাসেরা । আমাদের সাহিত্য পড়লে এ কথা জানা যায় যে এই অসুরদের সঙ্গে আর্য্যদের অনেক লড়াই হয়েছিল, কিন্তু ক্রমশঃ অস্থরের গ্রহণ করতে লাগল আর্য্যদের ধর্ম্ম । সংস্কৃত বৈদিক মন্ত্র তারা উচ্চারণ করতে পারত না, কিন্তু চেষ্টা করতে ছাড়ত না । পরবর্তীকালে দেখা যায় যে দাক্ষিণাত্যে দ্রাবিড় জাতিরা সম্পূর্ণভাবে আর্য্যদের সভ্যতা ও ধর্ম্ম গ্রহণ করেছিল এবং সংস্কৃত ভাষা আর্য্যদের মতই প্রায় আয়ত্ত করেছিল । পুরাণকাহিনীর তাৎপর্য্য বিশ্বাস করতে হ’লে মনে হয় যে অগস্ত্য ঋষি প্রথমে চেষ্টা করেছিলেন দু'টি জাতির এই মহামিলনের জন্য । কেউ কেউ মনে করেন যে রামায়ণে রামচন্দ্রের সহিত বানরকুলের মিত্রতার মধ্যে আমরা এই জিনিষেরই আভাস পাই । দ্রাবিড় ও আর্য্যের মিলন ঘটল, দ্রাবিড়েরা আর্য্যসভ্যতা গ্রহণ করল। তবু দ্রাবিড়েরা ছিল একটা মহাজাতি । তারা তাদের আপনাদেরকে আধ্যসভ্যতার মধ্যে হারিয়ে ফেলে নি, তারা রেখে গেছে তাদের বিশেষ কীর্ত্তি তাদের সঙ্গীতে, তাদের স্থাপত্যে, তাদের শিল্পে,