পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xbr o অধ্যাপক মধ্যে আমি প্রবেশ করতে পারি নি সেটা আমার দরদের অভাব নয়, সেটা আমার অক্ষমতা । আজ তোমার মন উত্তেজিত, তাই তুমি আমার অক্ষমতাকে সহানুভূতির অভাব বলে মনে করছ। যথাকালে তোমার মন প্রসন্ন হ’লে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে তোমার মুকু-দা’র কখনও তোমার প্রতি সহানুভূতির অভাব হ’তে পারে না । তবে একথা হয় ত সত্য যে, যে বিষয়ে তোমার দরদ সব চেয়ে বেশী সেই বিষয়ে আমার অনুভব করবার শক্তিই কম। সেটাও অক্ষমতা, ভালবাসার অভাব নয়। কিন্তু সে কথা যাক। আমাকে তুমি যত ইচ্ছা তিরস্কার কর, সে আমি মাথা পেতে নেব, কিন্তু একটা কথা আমার মনে হচ্ছে এই যে এতদিন ত তোমার স্বাদেশিকতার প্রতি কোনও বিশেষ রোথ দেখি নি । এ সম্বন্ধে তুমি যে বিশেষ আলোচনা করতে তাও ত শুনি নি । স্বাদেশিকতার হাওয়া ত দেশে অনেকদিন থেকেই বইছে । সে সম্বন্ধে আমিও যেমন নিরূদ্বেগ থাকতুম তোমাকেও তেমনি নিরুদ্বেগ দেখেছি । আজ কি এমন ঘটুল যে তুমি স্বাদেশিকতার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়লে ?” সুজাতা জবাব করলে—“এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সহজ নয়। অনেকদিন ধরেই আমার মন ফুট্‌ছিল টগ্‌বগ্‌ করে’, কোনও একটা উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করব এর জন্তে ঘটেছিল একটা যাতনা । অথচ কোনও কল্পনা ছিল না মনের কাছে, কোনও উপায় ছিল না জানা । আমার হাসিখুসি, আমোদ আহলাদ, এ সমস্তই ছিল সেই প্রচ্ছন্ন আগুনকে ঢেকে রাখবার একটা উপায় মাত্র। কোন পথে আমাকে আমি প্রকাশ করব আমার কিছুমাত্র জানা ছিল না। আমার মধ্যে আছেন যিনি অন্তর্য্যামী তিনি গড়ে তুলছিলেন আমার মধ্যে আমার আদর্শ এবং আমার শক্তির বেগ। নদীর জল যখন