পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক را مbb চারিদিকের বাতাস থেকে আসছে দহনের উত্তেজনা । তা নইলে, আমার একটা বক্তৃতায় এতখানি তার ক্ষেপে উঠত না । তবে তারা যে ভাবে ক্ষেপে উঠেছে তার জন্যে আমাকে আমি দায়ী করতে পারি না। আমি তুলেছিলুম ইউরোপের এবং আমাদের দেশের দ্বন্দ্বের কথা । সেটা প্রচলিত পলিটিক্যাল মতের চেয়ে অনেকখানি বিভিন্ন । তারা গুলিয়ে ফেলেছে আমার মতের সঙ্গে প্রচলিত পলিটিক্যাল মতের । হয় ত তারা যখন দেখবে এবং বুঝবে যে প্রচলিত পলিটিক্যাল পন্থার সঙ্গে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও এই সমস্ত পলিটিক্যাল মত এবং এই সমস্ত পলিটিক্যাল মতবাদীদের কার্য্যপ্রণালীর সঙ্গে আমার মত ও কার্য্যপ্রণালীর নির্দিষ্ট পার্থক্য আছে, তখন তারা অনায়াসে আমাকে ছেড়ে দেবে এবং আমি মুক্ত হব আমার নেতৃত্বের অবসর থেকে । বাস্তবিক দেখতে গেলে আমার বক্তৃত একটা উপলক্ষ্য মাত্র । এটা কোন না কোন কারণে ঘটতই। যেমন অন্তরের প্রেরণায় আমার মধ্যে এই সমস্ত ভাব উদ্বেল হয়ে উঠেছে তেমনি তা উদ্বেল হয়ে উঠেছে আরও দশজনের মধ্যে। কোনটাকে উপলক্ষ্য করে কার মন উদ্বেল হয়ে উঠবে তা নির্ণয় করা যায় না । আর প্রত্যেকের চিত্তের স্বতন্ত্রতায়, প্রত্যেকের চিত্তের গঠনভঙ্গিতে নির্ণয় করবে সেই জ্বলে’ ওঠার ভঙ্গি । তারা যা বলবে, যা চাইবে, সে আমার বলাও নয়, আমার চাওয়াও নয় । এমনি করে’ হয় ত আমি মুক্তি পাব এদের নেতৃত্বের কবল থেকে । চিত্ত থেকে যে সমস্ত ধূম উঠে এখন আমার চিত্তকে আচ্ছন্ন করছে, আমার সামনে থেকে সরে’ গেলে হয় ত তা আমাকে আচ্ছন্ন করতে পারবে না, তখন আমি হয় ত এসে দাড়াতে পারব স্বর্য্যকরস্কাত মহাপ্রাস্তরের মধ্যে, সেখান । থেকে বিচার করবার অবসর পাব যে পথ আমি নিয়েছি সে পথ