পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うや অধ্যাপক রাত্রি জেগে ফুলের মতনই সেগুলি অপেক্ষা করেছে তাদের না-পাওয়া আলোর—‘পুষ্প যেমন আলোর লাগি না জেনে রাত কাটায় জাগি । ভোরের আলো স্মরণ করিয়ে দেয় রাত্রির নিবিড ব্যথা ।” সুজাতা একটু হেসে বল্লে—“অত রোম্যান্স আর অত কবিতা ছড়াতে হবে না। ফুলের সমস্ত লাবণ্য, সমস্ত রং নির্ভর করে আলোর উপরে ; যে আলোটুকু সে অপহরণ করে সেটুকু সে খরচ করে নিজেকে গড়ে তোলবার জন্যে, আর যে আলোটুকু সে জগৎকে দেয় ফিরিয়ে সেটুকুতে লোকের কাছে প্রকাশ পায় তার রূপ ও লাবণ্য। নিজের পূর্ণতার জন্যে, নিজেকে গড়ে তোলবার জন্তে যেমন একদিকে তার প্রয়োজন হয় সূর্য্যের আলো তেমনি নিজেকে দশের কাছে তুলে ধরবার জন্যে তার দরকার হয় রবির বর্ণমালাময় রশ্মি। আমি আমার মধ্যে অনুভব করি একটা প্রাণশক্তি, সে কারও অপেক্ষ। করে না তাকে গড়বার জন্তে । সে চেয়ে আছে কালের অভিব্যক্তির বেগের দিকে । তেমনি সে চায় না যে আর কারও কাছ থেকে ঠিক্রানো রশ্মি এসে তাকে লোকসমাজে তুলে ধরবে । বীজ থাকে মাটির মধ্যে, সেখানে থাকে না স্বর্য্যরশ্মি। সেখানে আছে শুধু কর্দমাক্ত আবরণের সিক্ততা । সে সিক্ততা শুধু তার পারিপাশ্বিক প্রতিকূলতাকে দমিয়ে দেয় । তারপর সে পারিপাশ্বিক আবরণ থেকে সংগ্রহ করে তার বাড়বার জন্তে যা প্রয়োজন। সে তার আপন বলে মাটি ভেদ করে পৃথিবীলোকে আপনাকে প্রকাশ করে । তখন দেখা হয় তার সঙ্গে স্থর্য্যালোকের, দেখা হয় তার সঙ্গে বাতাসের । সূর্য্যালোক দিয়ে সে আপনাকে গড়ে না, সূর্য্যালোক তার উপর পড়লে সেই সাহচর্ধ্যে অথচ তার বিনা অমুকম্পায় সহজ হয় তার পক্ষে আপন ধাতুকে গড়ে তোলা । তেমনি তুমি যখন আমার কাছে থাক,