পাতা:অন্‌ দি ভল্‌গা.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাদি ভলগা ফোটা জ্বল গড়িয়ে পড়ছে-একঘণ্টা পরেও ফেরার পথে এমনি করেই দাড়গুলো জল কাটবে ; নৌকাটা তীরের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিশ্চিন্তে ঘাটে এসে থেমে পড়বে -এই কথাগুলোই যখন কেউ ভাবে তখনই অদ্ভুত মনে হয়। এই জন্যই ত বলছিলাম যে ব্যাপারটা বুদ্ধির অতীত-অদ্ভুত।”--- কথাটা শেষ হতেই তার সমস্ত শরীরটা কেমন যেন একবার কেঁপে উঠল। “এইত আমরা পৌছে গেছি।’-বাশবনের মধ্য দিয়ে নৌকার গলুইটা। বালুকাময় তীরের উপর এসে ধাক্কা খেতেই অফিসার বলে উঠলেন। তারপর আস্তে লাফিয়ে তীরে নেমে তিনি মেয়েটির দিকে একখানা হাত বাড়িয়ে দিলেন। চড়ুইভাতির অভিযানে বেরিয়ে কোন যুবক যেমন ভাবে নৌকা ধরে হাত বাড়িয়ে মেয়েদের নামতে সাহায্য করে তঁর ধরনটাও প্রায় সেই রকমই । মেয়েট সংকুচিতভাবে নিজেকে পিছনের দিকে সরিয়ে নিল। ওরা সমস্ত চেহারাটাই কেমন যেন পাংশু বিবর্ণ হয়ে গেছে। অফিসারের প্রসারিত হাতটা এড়িয়ে সে সমস্ত শক্তি দিয়ে নৌকা থেকে লাফিয়ে নীচে নেমে পড়ল। ভিজে বালুর মধ্যে পা ডুবে যাওয়ায় ওর জুতোর লেসের গর্তগুলোর মধ্য দিয়ে খানিকটা বালু এসে ভিতরে ঢুকে পড়ল। স্কাফটা। দিয়েই সে বালুগুলি ঝেড়ে ফেলছিল। রুক্ষ চুলওয়ালা সৈনিকটি করুণদৃষ্টি মেলে স্কাফটার দিকে চেয়ে দেখছিল। “এটা নাও তুমি-আর ফিরিয়ে দিতে হবে না।” সৈনিকের হাত থেকে স্বাফটা ছিনিয়ে নিয়ে অফিসারটি বলে উঠলেন“অনুমতি নেই। ফিরিয়ে নেও ওটা।” কথাগুলি এবার তার অপ্রত্যাশিত রকম কর্কশ । “তোমরা এখানেই অপেক্ষা কর-আমরা ওদের সবাইকে খুঁজতে