পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*R অপরাজিত কিছু পরেই অপ বঝিল লোকটা সংস্কােত ভাল জানে-নানা কাব্য উত্তমরাপে পড়িয়াছে। নানা স্থান হইতে শ্লোক মখস্থ বলিতে লাগিল-কাব্যচর্চায়। অসাধারণ উৎসাহ, তুলসীদাসী রামায়ণ হইতেই অনগল দোঁহা আবত্তি করিয়া যাইতে লাগিল । BB DgBDD DBB DDD BDDBzSSS Y SDDDS SDBDBYS DK0 সেখানেই শৈশব কাটে, তের বৎসর বয়সে উপনয়নের পর এক বেনিয়ার কাছে চাকরি লইয়া কাশী আসে। পড়াশনা সেইখানেই-তারপরে কয়েক জায়গায় টোল খালিয়া ছাত্র পড়াইবার চেণ্টা করিয়াছিল--কোথাও সংবিধা হয় নাই । পেটের ভাত জন্টেনা, নানা স্থানে ঘরিবার পর এই ডাকবাংলোয় আজ সাত আট বছর বসবাস করিতেছে । লোকজন বড় এখানে কেহ আসে না, কালেভদ্রে এক-আধজন, সেই একা থাকে, মাঝে-মাঝে তের মাইল দারের বাপ্তি হইতে খাবার জিনিস ভিক্ষা করিয়া আনে, বেশ চলিয়া যায় । সে আছে আর আছে তাহার কাব্যগ্রন্থগলি-তােহর মধ্যে দরখানা হাতে লেখা পথি, মেঘদত ও কয়েক সগ ভটি । অপর এত সন্দির লাগিল। এই নিরীহ, অদ্ভুত প্রকৃতির লোকটির কথাবাতা ও তাহার আগ্রহভরা কাব্যপ্রীতি-এই নিজন বনবাসেও একটা শান্ত সন্তোষ । তবে লোকটি যেন একটু বেশী বকে, বিদ্যাটা যেন বেশী জাহির করিতে চায়-কিন্তু এত সরলভাবে করে যে, দোষ ধরাও যায় না । অপ বলিল-পণ্ডিতজী, আপনাকে থাকতে দেয়, কেউ কিছু বলে না ? --না। বাবাজী, নাগেশবরপ্রসাদ বলে একজন ইঞ্জিনীয়ার আছেন, তিনি আমাকে খাব মানেন, সেই জন্যে কেউ কিছ বলে না । কথায় কথায় সে বলিল-আচ্ছা পশিডতজী, এ বন কি অমরকািণ্টক পর্যন্ত gश्वन चन्म ? -বাবাজী, এই হচ্ছে প্রসিদ্ধ বিন্ধ্যারণ্য । অমরকশািটক ছাড়িয়ে বহােদৱ পর্যন্ত বন, এমনি ঘন-চিত্রকট ও দণ্ডকারণ্য এই বনের পশ্চিমদিকে । এর বর্ণনা শােনন তবে নৈষধচরিতে-দময়ন্তী রাজ্যভ্রন্ট নলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পরে এই বনে পথ হারিয়ে ঘরেছিলেন-ঋক্ষবান পর্বতের পাশের পথ দিয়ে তিনি বিদ্যাভ দেশে যান । রামায়ণেও এই বনের বণনা শানকেন অরণ্যকান্ডে । শােনন তবে । আপ ভাবিল লোকটা বত মানের কোনও ধার ধারে না, প্রাচীন শিক্ষাদীক্ষায় একেবারে ডবিয়া আছে-সব কথায় পরাণের কথা আনিয়া ফেলে । লোকটিকে ভারী অদ্ভুত লাগিতেছিল-সারাজীবন এখানে-ওখানে ঘরিয়া কিছই করিতে পারে নাই -এই বনবাসে নিজের প্রিয় পথিগলা লইয়া বৎসরের পর বৎসর কাটাইয়া চলিয়াছে, ১ কোন দঃখ নাই, কািট নাই । ঐ ধরণের লোকের দেখা মেলে না বেশী । ওঝাজী সম্বরে রামায়ণের বনবর্ণনা পড়িতেছিল । কি অদ্ভুতভাবে ষে চারিপাশের দশ্যের সঙ্গে খাপ খায়। নিজান শালবনে অস্পষ্ট জ্যোৎস্না উঠিয়াছে,