পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যোৎস্নায় রেলগাড়ীখানা ঝড়ের বেগে একটা কোন নদীর ছোট সঁাকো পাের হইতেছে-সামনে খুব উচু একটা কালোমত টিবি, চিবিটার ওপরে অনেক গাছপালা, নদীর জলে জ্যোৎস্না পড়িয়া চিক্‌ চিক্‌ করিয়া উঠিল, আকাশে সাদা। সাদা মেঘ-তারপর সেই ধরণের বড় বড় আরও কয়েকটা টিবি, আরও সেই রকম গাছপালা । তাহার পর একটা বড় স্টেশন লোকজন, আলো-পাশের লাইনে একখানা গাড়ী আসিয়া দাড়াইয়াছিল--একজন পানওয়ালার সঙ্গে একট। লোকের যা ঝগড়া হইয়া গেল-স্টেশনে একটা বড় ঘড়ি ছিল-সে তাহার মাস্টার মশায় নীরেন। বাবুর কাছে ঘড়ি দেখিতে শিখিয়াছিল, গুনিয়া গুনিয়া দেখিল রাত্রি তিনটা বাজিয়া বাইশ মিনিট হইয়াছে। তারপর আবার গাড়ী ছাডিল—আবার কত গাছ, আবার সেই ধরণের উচু উঁচু ঢিবি-অনেক সময়ে রেলের রাস্তার দুইধারেই সেইরকম চিবি-গাড়ীতে সবাই ঘুমাইতেছে, ইহারা যদি কিছু দেখিবে না। তবে বেলগাড়ী চড়িয়াছে কেন ! কাহাকে সে জিজ্ঞাসা করে যে অত ঢিবি কিসের ? এক একবার সে জানাল দিয়া মুখ বাড়াইয়া কুকিয়া মাটির দিকে চাহিয়া নিরূপণ করিবার চেষ্টা করিতেছিল। গাড়ীখানা কত জোরে যাইতেছে—চুল বাতাসে উডিয়া মুখে পড়ে, মাটি দেখা যায় না, যেন কে মাটির গায়ে কতকগুলি সরল রেখা টানিয়া চলিয়াছে,-উঃ ! রেলগাড়ী কি জোরে যায়! কৌতুহলে, উত্তেজনায় সে একবার এদিকের জানালায়, একবার ওদিকের জানালায় মুখ বাড়াইয়া দেখিতেছিল। মাঝে মাঝে পূর্বদিকের দ্রুতবিলীয়মান অস্পষ্ট জ্যোৎস্না-ভরা মাঠের দিকে চাহিয়া চাহিয়া তাহার মনে হইতেছিল, কত দূরে তাহারা আসিয়াছে! এসব কোন দেশের উচু নীচু মাঠ দিয়া তাহারা চলিয়াছে ? সকালের দিকে আবার একটু ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল, একটা প্রকাণ্ড স্টেশনে সশব্দে গাড়ী আসিয়া দাড়াইতেই তাহার। তন্দ্রা ছুটিয়া গেল-প্ল্যাটফর্মের পাথরের ফলকে নাম লেখা আছে-পাটনা সিটি | তাহার পর কত স্টেশন চলিয়া গেল। কি বড় বড় পুল ! গাড়ী চলিয়াছে, চলিয়াছে, মনে হয় বুঝি পুলটা শেষ হইবে না-কত ধরণের সিগন্যাল, কত কল-কারখানা, একটা কোন স্টেশনের ঘরে মধ্যে একটা লোহার থামের গায়ে চোেঙ লাগানো মত-তাহারই মধ্যে মুখ দিয়া একজন রেলের বাবু কি কথা DBDBuYgBBD DD DS D DBDuYDD DDBSDB DDDYS 養い?-si不エーエfó RW-業iー装iー সে অবাক হইয়া বাবাকে জিজ্ঞাসা করিল-ও কি কল বাবা ? ওর মধ্যে মুখ দিয়ে ওরকম বলচে কেন ?