পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইল-কথার মধ্যে তাহারও যে দিবার কিছু আছে বা থাকিতে পারে সেদিকে টুঙ্গিত করা হইতেছে বুঝিয়া । পরে দু’জনে বেড়াইতে বাহির হইল । অপরাজিত নবম পরিচ্ছেদ ঠাত্রীকে পড়াইতে যাইবার সময় অপুর গায়ে যেন জ্বর আসে, ছুটি-চাটার দিনটা না। যাইতে হইলে সে যেন বঁাচিয়া যায়। অদ্ভুত মেয়ে । এমন কারণেঅকারণে প্রভুত্ব জাহির করিবার চেষ্টা, এমন তাচ্ছিল্যের ভাব-এই রকম সে একমাত্র অতসীদি’তে দেখিয়াছে। একদিন সে ছাত্রীর একটা রূপ-বাধানে। পেন্সিল হারাইয়া ফেলিল । পকেটে তুলিয়া লইয়া গিয়াছিল, কোথায় ফেলিয়াছে, তারপর আর কিছু খেয়াল “ছল না, পরদিন প্রতি সেটা চাহিতেই তাহার তো চক্ষুস্থির ! সঙ্কুচিতভাবে বলিল-কোথায় যে হারিয়ে ফেললাম-কাল বরং একটা কিনে প্রীতি অপ্রসন্ন মুখে বলিল, ওটা আমার দাদুমণির দেওয়া বার্থডে গিফট f5不ー চহার পর আর কিনিয়া আনার প্রস্তাবটা উত্থাপিত করা যায় না, মনে মনে ভাবিল, কাল থেকে ছেড়ে দেবো -এখানে আর চলবে না । কি একটা ছুটির পরদিন সে পড়াইতে গিয়াছে, পীতি জিজ্ঞাসা করিল, तेन (य अन्नन्न नि ? অপু বলিল, কাল ছিল ছুটির দিনটা-তাই আর আসিনি। প্রীতি ফটু করিয়া বলিয়া বসিল-কেন, কাল তো আমাদের সরকার, বাইরের দু'জন চাকর, ড্রাইভার সব এসেছিল ? আমার পড়াশুনো কিছু হ’ল না, আজ ডিটেন ক’রে রাখলে পাঁচটা অবধি । অপুর হঠাৎ বড় রাগ হইল, দুঃখও হইল! খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, আমি তোমাদের সরকার কি রাধুনীঠাকুর তো নাই, গ্রীতি! কাল স্কুলকলেজ সব বন্ধ ছিল, এজন্য ভাবলাম আজ যাব না। আমার যদি ভুলই হয়ে থাকে-তোমার সেই রকম মাস্টার রেখে যিনি এখানে বাজার-সরকারের মত থাকবেন। আমি কাল থেকে আর আসব না বলে যাচ্ছি। বাড়ির বাহিরে আসিয়া মনে হইল-দেওয়ানপুরের নির্মলাদের কথা । তাহারাও তো অবস্থাপন্ন, তাহদের বাড়িতেও সে প্রাইভেট মাস্টার ছিল। SY