-এসে বসে । চা খাবে ? চা-পানের পর আবদুল আসিবার উদ্দেশ্যে বলিল। বারাকপুরে একটা বন্ড বয়লারের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে, ঠিক সেই ধরণের বয়লারেরই আবার এদিকে একটা খরিদার জুটিয়া গিয়াছে, কাজটা লাগাইতে পারিলে তিনশো টাকাৰ কম নয়-একটা বড় দাও। কিন্তু মুশকিল দাড়াইয়াছে এই যে, এখনই বারাকপুরে গিয়া বয়লাবটি দেখিয়া আসা দরকার এবং কিছু বায়না দিবারও প্রয়োজন আছে- অথচ তাহার হাতে একটা পয়সাও নাই। এখন কি করা ? অপু বলিল-খদের মাল ইনস্পেকৃশনে যাবে না ? —আগে আমরা দেখি, তবে তো খদ্দেরকে নিয়ে যাব ?--দেড পার্সেণ্ট ক’রে ধরলেও সাড়ে চাবশে। টাকা থাকবে আমাদের-খদেব হাতের মুঠোয় বয়েছে-আপনি নির্ভাবনায় থাকুন-এখন টাকার কি করি ? অপু পুর্বদিন টুইশনির টাকা পাইয়াছিল, বলিল-কত টাকার দরকাব ? আমি তো ছেলে পড়ানোর মাইনে পেয়েছিা-কত তোমার লাগবে বলে । হিসাবপত্র করিয়া আট টাকা পড়িবে দেখা গেল। ঠিক হইল-আবদুল এবেল বয়লার দেখিয়া আসিয়া ওবেলা বাজারে অপুকে সব খবর দিবে। অপু বাক্স খুলিয়া টাকা আনিয়া আবদুলের হাতে দিল। বৈকালে সে পাটের এক্সচেঞ্জের বারান্দাতে বেলা পাচটা পর্যন্ত আগ্রহের DBDDS DDBB BDDBB BuBBDS BBD S BD S BBD DBDBDD DDD পবাদনও তাহার দেখা নাই। ক্রমে ক্রমে একে একে সাত আটদিন কাটিয়া গোল —কোথায় আবদুল ? সারা বাজার ও রাজা উডমাণ্ড ষ্ট্রীটের লোহার দোকান আগাগোডা খুজিয়াও তাহার সন্ধান মিলিল না । ক্লাইভ ষ্ট্রীটের একজন দোকানদার শুনিয়া বলিল-কত টাকা নিয়েছে আপনার মশাই ! আবদুল তো ? মশাই জোচ্চোরের ধাড়ী-আর টাকা পেয়েছেন- টাকা নিয়ে সে দেশে পালিয়েছে-আপনি যেমন !• • • প্রথম সে বিশ্বাস করিল না। আবদুল সে রকম মানুষ নয়, তাহা ছাড়া এত লোক থাকিতে তাহাকে কেন ঠিকাইতে যাইবে ? কিন্তু এ ধারণা বেশীদিন টিকিল না। ক্রমে জানা গেল আবদুল দেশে যাইবে বলিয়া যাহার কাছে সামান্য কিছু পাওনা ছিল, সব আদায় করিয়া লইয়া গিয়াছে দিন-সাতেক আগে। কঁাটাপেরেকের দোকানের বুদ্ধ বিশ্বাস মহাশয় বলিলেন--আশ্চয্যি কথা মশাই, সবাই জানে আবদুলের • কাণ্ডকারখানা আর আপনি তাকে চেনেন নি। দু-তিনমাসেও ? রাধে-কৃষ্ট । ব্যাটা জুয়াচোরের ধাড়ী হার্ডওয়ারের বাজারে সবাই চিনে ফেলেছে, এখানে Set
