--রেলগাড়ী এখন কি ক’রে দেখবে ?• • • • • “সেই দুপুরের সময় রেলগাড়ী আসবে, এখনও দু’ঘণ্টা দেরি ! --তা হোকৃ বাবা, আমি দেখে যাবো, আমি কখগনে দেখিনি-হ্যা বাবা -ও রকম কোরো না, ঐ জন্যে তোমায় কোথাও আনতে চাইনে- এখন কি ক’রে দেখবে ? সেই দুপুর একটা অবধি বসে থাকৃতে হবে তা হোলে এই ঠায় রোদরে, চল আসবার দিন দেখাবো। অপুকে অবশেষে জল-ভরা চােখে বাবার পিছনে পিছনে অগ্রসর হইতে श्ब्ज ॥ তুমি চলিয়া যাইতেছ।--তুমি কিছুই জানো না, পথের ধারে তোমার চোখে কি পডিতে পারে, তোমার ডাগর নবীন চোখ বিশ্বগ্রাসী ক্ষুধায় চারিদিককে গিলিতে গিলিতে চলিয়াছে—নিজের আনন্দের এ হিসাবে তুমিও একজন দেশআবিষ্কারক। অচেনার আনন্দকে পাইতে হইলে পৃথিবী ঘুরিয়া বেড়াইতে হইবে, তাহার মানে নাই! আমি যেখানে আর কখনো যাই নাই, আজ নতুন পা দিলাম, যে নদীর জলে নতুন স্নান করিলাম, যে গ্রামের হাওয়ায় শরীর জুডাইলাম, আমার আগে সেখানে কেহ আসিয়াছিল। কিনা, তাহাতে আমার কি আসে যায় ? আমার অনুভূতিতে তাহা যে অনাবিষ্কৃত দেশ। আমি আজ সর্বপ্রথম মন, বুদ্ধি, হৃদয় দিয়া উহার নবীনতাকে আস্বাদ করিলাম যে ! ৭ - আমাডোব ! ছোট চাষাদের গা-খান-কেমন নামটি ! মেয়ের উঠানে বিচালি কাটিতেছে, ছাগল বঁাধিতেছে, মুরগীকে ভাত খাওয়াইতেছে, বড় লোকেরা পাট শুকাইতেছে, বঁাশ কাটিতেছে-দেখিতে দেখিতে গা পিছনে ছাডিয়া একেবারে বাহিরের মাঠ - “বিলে জল থৈ থৈ করিতেছে---উডি ধানের ক্ষেতে বক বসিয়া আছে--"নাল ফুলের পাতা ও ফুটন্ত ফুলে জল দেখা যায় না। খলসেমারির বিলের প্রান্তে ঘন সবুজ আউশ ধানের ক্ষেতের উপরকার বৃষ্টি-ধৌত, ভান্দ্রের আকাশের সুনীল প্রসার। সারা চক্রবাল জুড়িয়া সূর্যান্তের অপরূপ বর্ণচ্ছটা, বিচিত্র রং-এর মেঘের পাহাড়, মেঘের দ্বীপ, মেঘের সমুদ্র, মেঘের স্বপ্নপুরী-খোলা আকাশের সহিত এ রকম পরিচয় তাহার এতদিন হয়। নাই, মাঠের পারের দূরের দেশটা এবার তাহার রহস্য-অবগুণ্ঠন খুলিল আট বছরের ছেলেটির কাছে। DDDBD DDBB DBD BB BDDD SBBB BBB DDDYiDDBDS S uDDB ছেলে, যা দেখে তাতেই হঁ ক’রে থাকো কেন অমন ? জোরে হাটো । সন্ধ্যার পর তাহারা গন্তব্যস্থানে পৌছিল। শিষ্যের নাম লক্ষ্মণ মহাজন, s