পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলদে আলো লেগে সমস্ত আকাশ ধানি রন্থে সবুজ হয়ে উঠল, মেঘগুলোতে কমলা রঙ আর দূরের পাহাড়ে মাঠে সব জিনিসে কুসুম ফুলের গোলাপি আভা পড়ল। কুঁকড়ে ডাক দিয়ে চললেন, আলোর ফুল আলোর ফু-ল-কি-ই-ই গোলাপি হোক সোনালি, সোনালি সে রুপোলি, রুপোলি হোক সাদা আ-লো-আ-লো-র ফুল', কিন্তু তখনো দূরে খেতগুলোতে শোন ফুলের রঙ মেলায় নি, সর্ব জিনিসে চমক দিচ্ছে, কুঁকড়ে ডাকলেন, “আ-লো-ও-ও’, অমনি কাছের খেতের উপরে চট করে এক পোছ সোনালি পড়ল, পাহাড়ে ঝাউগাছের মাথায় সোনা ঝকমক করে উঠল। কুঁকড়ে পুব ধারের আকাশকে বললেন, ‘খুলুক, খুলুক। অমনি আকাশ জুড়ে পুব দিকে আলোর ছড়া পড়তে থাকল। পাহাড়ের দিকে চেয়ে কুঁকড়ে ডাকলেন, ‘খুলুক খুলুক, অমনি সব পাহাড়ে পাহাড়ে গোলাপি ফুলে ভবা পদম গাছ ছবির মতো খুলে গেল সোনালির চোখের সামনে। খুলুক খুলুক', দূরে ঝাপস পাহাড় কুয়াশার চাদর খুলে যেন কাছে এসে দাড়াল। দূরের কাছের সব জিনিস ক্রমে নতুন করে আলো-ছায়া দিয়ে গড় এক টুকরো পৃথিবী। শুকনে ছড়ি থেকে ফলন্ত আমগাছ গড়বার সময় ছেলেরা যেমন সেটার দিকে ই করে চেয়ে থাকে সোনালি তেমনি কুঁ%বড়োর এই-সব কাগুকারখানা অবাক হয়ে দেখছিল, আর ভাবছিল, কুঁকড়োই বুঝি এ-সবের ছিষ্টিকত্তা, এমন সময় কানের কাছে শুনলে ‘মোন, বলে। ভালোবাসো তো ? সোনালি খানিক চুপ করে থেকে বললে, অন্ধকার থেকে এমন সকাল যে উঠিয়ে আনলে, তার সঙ্গে মনের কথা চালাচালি করতে কে না ভালোবাসে ।” কুঁকড়ে বললেন, সরে এসে শেনালি, বুক তুমি আনন্দে ভরে দিয়েছ, তোমাকে পেয়ে আজ কাজ মনে হচ্ছে কত সহজ এই বলে কুঁকড়ে ডাকলেন, ‘আলোর ফুলকি সোনালি', সোনালি অমনি &S