অভাগী সত্রে আহার করে, আর যাত্রী ঠকাইয়া পাণ্ডাগিরি করে ;- পাণ্ডাগিরি করিয়া যাহা উপাৰ্জন করে, তাহার কিছু মন্দ, গাজায় উড়াইয়া দেয়, আর কিছু সঞ্চয় করে। অল্পদিনের মধ্যেই রমানাথ বেশ একজন নামজাদা পাণ্ড হইয়া উঠিল । তখন সে বাঙ্গালীটোলায় একটি বাড়ী ভাড়া করিল ; একটি সঙ্গিনীও খুজিয়া লইল এবং যাত্রীদিগের কাশীকার্য্য করাইয়া বিলক্ষণ দুপিয়সা উপাৰ্জন করিতে লাগিল। কাশীর প্রসিদ্ধ গুণ্ড ও বদমাইস্দিগের সহিত তাহার বিশেষ সৌহৃদ্য স্থাপিত হইল। রমানাথ কাশীর পাণ্ডদলের দশজনের একজন হইল । এই রমানাথ পাণ্ডার হাতেই যোগেশ ধরা দিয়াছিল এবং সুশীলা ধরা না দিয়া কাশীর রাজপথে একাকিনী বাহির হইয়াছিল। কিন্তু সে রমানাথের দৃষ্টি অতিক্রম করিতে পারে নাই। কাশীর ন্যায় অপরিচিত স্থানে আসিয়া নিঃসম্বল অবস্থায় সুশীলা বিশ্বনাথের নাম করিয়া মনে বল বঁাধিলেও, কাশীর এই জনাকীর্ণ রাজপথের একপার্শ্ব দিয়া অতিশয় সঙ্কোচের সহিত সে চলিতে লাগিল। একটু যাইতে না যাইতেই, রমানাথ তাহার নিকট উপস্থিত হইল। ষ্টেসনে অনেক পাণ্ডার সহিত যোগেশের কথাবার্ত্ত হইতেছিল এবং সুশীলাও সে দিকে তেমন [ ܘܬܠ