পাতা:অভাগী - জলধর সেন.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভাগী পরকাল নষ্ট হইতেছে, ইহা তিনি বুঝিতে পারিতেন না। তিনু যখন পড়াশুনা ছাড়িয়া দিয়া ইয়ারের দলে ভক্তি হইল, তখন তাহার বড়দিদি মনে বড়ই বেদন পাইলেন ; কিন্তু তিনকড়িকে শাসন করিতে পারিলেন না । একদিন তিনি কি একটা সামান্য কথা বলিয়াছিলেন, তাহাতেই তিনকড়ি রাগিয়া বলিয়াছিল-“তোমরা অমন করিয়া যদি বক, তাহ’লে হয় আমি আফিম খেয়ে মা’বুব, আর না হয় যেদিকে দুই চোখ যাবে, সেইদিকে চলে’ যাব।” এই কথা শুনিয়া তাহার বড়দিদির বড় ভয় হইল। তিনি তাহার পর হইতে তিনকড়িকে কিছুই বলিতেন না ; সে যখন যাহা চাহিত তাহাই দিতেনএমন কি তিনকড়ির কনসার্ট-পাটীর অনেক খরচ তাহাকেই যোগাইতে হইত। হরিশ্চন্দ্রের স্ত্রী যখন তখনই বড় ভগিনীকে এইজন্য দশ কথা শুনাইয়া দিত। বড়দিদি ছোট ভগিনীর কথার যখন কর্ণপাত করিতেন না, তখন সে বলিত, “দিদি, ছোড়াটার মাথা খেলে ।” দিদি বাধা দিয়া বলিতেন-“অমন কথা বলিসনে বোন ; সাতটা নয় পাঁচটা নয়, একটা ভাই ;- ঐটুকু বেঁচে থাকলে তবে বাবার নাম থাকবে।” সুশীলা তিনকড়ির বড়দিদিকে বড়মাসীমা বলিয়া ७१ ]