পাতা:অমর-ধাম - চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or of গান। তোমার গানে, তোমার গলার স্বর শুনে নাকি, শূরে। নরে স্তম্ভিত হয়, অপসরার ছুটিাছুটী করে, রাগরাগিণী নাকি তোমার কণ্ঠে নিত্য বিরাজ করে, লক্ষ্মী জামাই বাবু, একটা গান ৷” শেষে লক্ষ্মীর গালে একটা ঠোন মেরে, সখী শৈলজা বলিল, “ই রে, আজ কি অমন মুখ ভাৱ ক’রে বোসে থাকে, তোর বরকে একটা গান করতে বল না। গান না। শুনে আজ উঠবে না।” চারি বৎসর পুর্বে সেই একদিন অপরাহ্নে অমর কুমারের সঙ্গে লক্ষ্মীর চারি চক্ষে শুভদৃষ্টি হ’য়ে ছিল। ভাস্থার পর এ পর্য্যন্ত বাক্যালাপ বা ভাল রকমে দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই। সে আজ কেমন ক’রে কোন কথা বলে ? সে চুপ কৰিয়া রহিল। অবশেষে অমর কুমার বাধ্য হইয়া “শ্যামা খাম, শিব রাষ ঐ, নাম বড় ভালৰাসি,” এই সর্ব্বতন্ত্রের মিলন সঙ্গীতটি শুনাইয়া দিলেন। সকলে আনন্দিত অন্তরে জামাইএর অপূর্ব্ব গান ও কণ্ঠ স্বরের প্রশংসা করিতে করিতে চলিয়া গেলেন । অমরনন্দন হেমন্তকুমার সমস্ত দিন দৌড়াদৌড়ী করিয়া সন্ধ্যার সময়ে বাড়ীতে জনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল, এখন দিদিমায়ের হাত ধরিয়া বাহিরের নূতন ঘরে পিতৃমাতৃ সদনে উপস্থিত হুইবামাত্র অমরকুমার পুত্রের হাত ধরিয়া নিজের ক্রোড়ে বসাইয়া চুম্বন দিলেন। দীর্ঘকাল পরে এই তাহার উত্তম আব্দর । ছেলেকে লক্ষ্মীর দিকে অগ্রসর করিয়া দিয়া, গাত্র্যোখান পুর্ব্বক শ্বাশুড়ী ঠাকুরাণীর পাদস্পর্শ করিয়া প্রণাম করিলেন। লক্ষ্মীও বালকের মুখে চুম্বন দিয়া মাতৃচরণ বন্দনায় অগ্রসর হইল । 8