পাতা:অমর প্রেম - মানিক ভট্টাচার্য.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমর প্রেম মত সেই দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া রহিল। কথিকা ঘূথিকা কাঁদিয়া উঠিল, থােকাও না বুঝিয়া সে ক্রন্দনে যােগ দিল। লতিকা ও রামপ্রসাদ সজল। নয়নে তাহাদের সান্ত্বনা দিতে লাগিল। সুহাসিনী উদাসদৃষ্টিতে একবার তাহাদের পানে চাহিলেন, আর একবার যেদিকে এইমাত্র স্বামীর মৃতদেহ লইয়া গিয়াছে সেই দিকে চাহিলেন, তারপর ছুটিয়া মৃতদেহের অনুসরণ করিতে গিয়া দুয়ারের ধাক্কা লাগিয়া সেইখানে হতচেতন হইয়া পড়িলেন। লতিকা ও রামপ্রসাদ সর্বাগ্রে ছুটিয়া আসিয়া মাতার লুষ্ঠিত সংজ্ঞাহীন দেহ ধরাধরি করিয়া কমধ্যে আনিল। তারপর মাথায় জল ও বাতাস দিয়া তাহার চৈতন্য সম্পাদনে চেষ্টা করিতে লাগিল। | কিয়ৎক্ষণ পরে সুহাসিনী চক্ষু মেলিয়া চাহিলেন ও ধীরে ধীরে উঠিয়া বসিলেন। রাত্রিকার শয্যা, টেবিলের উপরকার ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত কাগজপত্রাদি, পুত্রকন্যাদের উদ্বিগ্ন সজল নয়ন দেখিয়া সব কথা মনে পড়িল। লতিকা সময় বুঝিয়া অমরনাথের দেওয়া সেই পত্রখানি মায়ের হাতের কাছে আনিয়া কাতর কণ্ঠে কহিল, “বাবা শেষ পত্রখানি তােমাকে লিখে গেছেন। একটিবার পড়ে দেখ মা।। সুহাসিনীর মনে পড়িল কাল কত কঠিন কথা স্বামীকে বলিয়াছিলেন । তাহা ভুলিতে না পারিয়া সেই সব উল্লেখ করিয়াই বুঝি তিনি এই পত্রে অনুযােগ করিয়া গিয়াছেন। তিনি কম্পিত হন্তে কন্যার হস্ত হইতে পত্র লইয়া মনে মনে পড়িতে লাগিলেন। সুহাসিনী, আমাকে ক্ষমা করিও। রাগ করিয়া যাহা বলিয়াছি তাহা আমার অন্তরের কথা নহে। তােমার নিঃস্বার্থ প্রেমপুর্ণ হৃদয়