পাতা:অমৃত-দ্বীপ - হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৯৪০).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
অমৃত-দ্বীপ

 জয়ন্ত বল্‌লে,“কিন্তু বোম্বেটেদের জাহাজ এখনো দূরে রয়েছে, সে কি টাইফুন্‌কে ফাঁকি দিতে পারবে?”

 কুমার বলে, “ওদের নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাবার দরকার নেই।”

 মাণিক বল্‌লে, “কি আশ্চর্য্য দৃশ্য! সমুদ্রের আর সব দিক্ শান্ত, কেবল একদিকেই জেগেছে নটরাজের প্রলয়-নাচন!”

 কুমার বল্‌লে, “সাধারণ ‘সাইক্লোনে’র মত টাইফুন্ বহু দূর ব্যেপে ছোটে না, ঐটেই তার বিশেষত্ব! কিন্তু ছোট হ’লেও তার জোর ঢের বেশী—যেটুকু জায়গা জুড়ে আসে, তার ভিতরে পড়লে আর রক্ষে নেই!”

 দূর থেকে ‘মেগাফোনে’ বিমলের উচ্চ কণ্ঠস্বর জাগল—“কুমার, সবাইকে নিয়ে তুমি ডাঙায় নামবার জন্যে প্রস্তুত হও। কেবল নিতান্ত দরকারি জিনিষগুলো গুছিয়ে নাও।”

 সবাই কেবিনের দিকে ছুটল। তারপর তাড়াতাড়ি কতকগুলো ব্যাগ ভর্ত্তি ক’রে আবার তারা যখন ডেকের উপরে এসে দাঁড়াল, দ্বীপ তখন একেবারে তাদের সামনে!

 মাণিক বিস্মিত কণ্ঠে বললে, “সমুদ্র যে এখানে প্রকাণ্ড এক নদীর মত হয়ে দ্বীপের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে! এ যে এক স্বাভাবিক বন্দর!

 জয়ন্ত বলে, “হ্যাঁ, আমাদের জাহাজও এই বন্দরে ঢুকছে।”

 সুন্দরবাবু উৎফুল্ল স্বরে বল্‌লেন, “জয় মা কালী! আমরা বন্দরে আশ্রয় পেয়েছি!”

 মাণিক বল্‌লে, “হ্যাঁ, আরো ভালো ক’রে মা-কালীকে ডাকুন