জানিয়েছিলাম। তবে জানিয়েছিলাম শ্রীসদানন্দের বিষয়ে পত্রিকার পাতায় সুন্দর একটা প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছে আছে। এই ইচ্ছের কথা বলা সত্ত্বেও সদানন্দ তেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন না। বরং জানতে চাইলেন, আপনি যে সমস্যা সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছেন, আপনার কি অলৌকিক বিষয়ে বিশ্বাস আছে?
বললাম, আছে বলেই তাে আসা। তবে কথা হল, আসল মানুষটি খুঁজে পাওয়াই কঠিন।
আপনি গ্রহের ফল, গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে বিশ্বাস করেন? শ্রীসদানন্দ জিজ্ঞেস করলেন।
সদানন্দের কথায় খেয়াল হলাে আজ প্রচণ্ড তাড়াহুড়ােয় হাতে বা আঙুলে তাবিজ বা গ্রহরত্নের আংটি পরে আসা হয়নি। অবস্থাটা ম্যানেজ করার চেষ্টা করলাম। বললাম, একসময় গ্রহরত্নের আংটি পড়তাম। বছরখানেক হলাে আংটি ছেড়েছি। সেও এক দক্ষিণ ভারতীয় সাধুর আদেশে। তিনি বলেছিলেন জন্মকুণ্ডলীর কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন শিব-শক্তি, ভাগ্যে যা ঠিক করা আছে তা পাল্টাতে পারেন একমাত্র শিব-শক্তি, পাথর-টাথর নয়। ওঁরই নির্দেশে পাথর বিদায় দিয়ে
শিব-শক্তির উপাসক হয়েছি। কী পাথরের আংটি ছিল আপনার? জিজ্ঞেস করলেন সদানন্দ।
একটা ছিল মুক্তো, একটা হিরে। বললাম আমি।
হিরে আর মুক্তো কত রতি করে ছিল? আবার প্রশ্ন করলেন সদানন্দ।
বলালাম হিরে আধ রতির মতাে, মুক্তো সাড়ে ন’রতি।