১২শ অঃ ] সুত্রস্থান । VA (অনুপযোগী রূপরসাদির সংযোগ), শীতোষ্ণবর্ষলক্ষণ দুষ্ট কাল, এবং ইহজন্মে ও পরজন্মে কৃত দুষ্কার্য্য। এই কারণ ক্রায়ের প্রত্যেকটী আবার হীনযোগ মিথাযোগ ও অতিযোগ ভেদে তিন প্রকাৰুে ভিন্ন হইয়া থাকে । বিষয়ের সহিত ইন্দ্রিয়ের অল্প সংযোগ বা অসংযোগকে হীনযোগ কহে। যেমন শ্রোত্রেক্রিয়ের বিষয় শব্দ, এই শব্দের অল্পশ্রবণ বা একেবারে অশ্রবণকে হীনযোগ বলে। চক্ষুর বিষয় রূপ, এই রূপের অল্প 'দৰ্শন বা একবারে সুদৰ্শনকে হীনযোগ কহে। অন্যান্য ইন্দ্রিয় সম্বন্ধেও এই নিয়ম জানিবে। আর স্বকীয় বিষয়ের সহিত ইন্দ্রিয়ের অতিসংসৰ্গকে অতিযোগ কহে৷ অতিসূক্ষ্ম, অতিদীপ্তিশালী, অতিভৈরব, অতি নিকটবর্ত্তী বা অতি দূরবর্তী, অপ্রিয় ও বিকৃতাদি রূপ দৰ্শনকে দর্শনেন্দ্রিয়ের মিথ্যাযোগ বলা যায়। এই মিথ্যাযোগ তিমিরাদি নেত্ররোগের কারণ বলিয়া অতি দারুণ। এইরূর্ণ অতি উচ্চ, পরুিষ, ইষ্টবিনাশ ও ভীষণাদি শব্দ-শ্রবণ শ্রবণেন্ত্রিীরের মিথ্যাযোগ। পুথিভবিষ্ঠাদি অনিষ্ট গুঙ্কের আত্মাণ দ্রাণেন্ত্রিয়ের মিথ্যাযোগ। এই প্রকার যথাযথ ভাবে অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের মিথ্যাযোগ জানিবে। কাল তিন প্রকারশীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষ। এই কালত্রয়ে শীত,গ্রীষ্মাদির অল্পত্যু হইলে হীনযোগ, অধিক হইলে অতিযোগ ও বিপরীতলক্ষণ ঘটিলে তাহাকে মিথ্যাযোগ কহে ॥ ৩০-৩৭ কালের ন্যায় কর্ম্মও ত্রিবিধ, যথা-কায়িক বাচিক ও মানসিক । কায়িকাদি কর্ম্মের হীন ( অল্প ) প্রবৃত্তিকে হীনযোগ, অতিপ্রবৃত্তিকে অতিযোগ এবং মলমূত্রাদির অনুপস্থিত বেগে বেগদান, উপস্থিত লেগ ধারণ, বিষম চাবে অঙ্গন্যাসাদি কার্যকরণ, উভয়লোকবিরুদ্ধ কার্য, বিক্রম পতন ও বিষম স্থলনাদি ব্যাপার সমূহকে মিথ্যাযোগ কহে। অৰ্দ্ধভু ক্ত বৃক্তির যে বাক্যালাপ তাহ বাচিক কর্ম্মের মিথ্যযোগ। রাণী দ্বেষ ও ভয়াদি মানসিক কর্ম্মের মিথাযোগ। দিনচর্য্যাধ্যায়োক্ত প্রাণীতিপাতাদি (হিংসা চৌষ্য প্রভৃত্তি) দশবিধ নিন্দিত কর্ম্ম যথাযথ কারিক বাচিক ও মানসিক মিখাযোগ।. আর ইহজন্মের জন্মান্তরে কৃত নিন্দিত সমস্ত কার্যই মিথ্যাযোেগ ॥ ৩৮-৪০ এই সমস্ত হীনযোগাদি দোষ সমূহের প্রকোপে নিদান। এই নিদান দ্বারা কুপিত দোষ সকল নানারূপে শাখু কোষ্ঠ অস্থি ও সন্ধিস্থলে বিবিধ ব্যাধি জন্মাইরা থাকে ॥৪১ রক্তাদি ছয় প্রকার ধাতু ও ত্বৰূকে শাখা কহে। শাখা বাহ রোগ সকলের স্থান। শাখাকে আশ্রয় করির উৎপন্ন হয় বলিয়া মৰ্ষক, ব্যঙ্গ, গলগণ্ড, গণ্ডমালা, অলজী ও অর্ব্বদ (বিসর্পবিদ্রাধি) প্রভৃতি এবং অর্শ গুল্ম ও শোখাদি রোগ সমূহকে বাহিরোগ কহে ॥ ৪২ মহাশ্রোত এবং আমাশয় ও পকাশয়ের আশ্রয় অভ্যন্তর ভাগকে কোষ্ঠ বলে। বমি, অতিসার, কাস, শ্বাস, উন্দর, জ্বর, শোখ, অৰ্শ, গুল্ম, বিসৰ্প ও অন্তর্বিদধি এই সকল রোগ কোষ্ঠীকে আশ্রয় করিয়া উৎপন্ন হয় বলিয়া ইহাদিগকে আভ্যন্তর রোগ কহে ৷৷ ৪৩ * মন্তক হৃদয় ও বস্ত্যাদি মর্ম্মস্থান, অস্থি সমূহের সন্ধি, এবং অস্থিনিবন্ধ শিরা স্নায়ু কওরা ও ধমনী প্রভৃতিকে মধ্যম রোগ মার্গ কহে। এই মধ্যম রোগমাৰ্গৈ, যক্ষ্মা, পক্ষাঘাত, অৰ্দিত, মুৰ্দ্ধাদি রোগ (মন্তক হৃদয় ও বস্তিগত রোগ) এবং সন্ধি অস্থি ও ত্রিকুদেশে খুলও গ্রহ (2ङ्गडि (वायूनांश সকল ) অস্মিয় থাকে ॥ ৪৪৷৪৫ * O -বায়ুর কার্য্য। সন্ধিভ্রংশ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গাদির বিক্ষেপ ব্যািধ ( মুদগরাদিদ্বারা তাড়নব্যুৎ ব্যথা), স্পৰ্শশক্তিহীনতা, অঙ্গের অবসাদ (কার্য্যে অসামর্ঘ্য), রুক্ (সততশূলবৎ বেদনা ), তেদি (বিচ্ছিন্ন
