বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আজকের আমেরিকা.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



আজকের আমেরিকা
২১

ঠকাতে পারবেন না, আমরা টাকা দিব কিন্তু প্রত্যেক খেলাতে আমাদের নাম দিতে হবে। যদি আমাদের সংগে দয়া করে কেউ না খেলেন, তবে আমরা মোটেই দুঃখিত হব না। আমরা দুজনাতেই খেলব। আমরা খেলতে চাই এবং আমরা খেলবই এটুকু মনে রাখবেন।” ক্ষণিকের জন্য লোকটার মুখ লাল হয়ে উঠল, পরীক্ষণেই তার মুখের অবস্থা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এল। আমি তাকে বললাম, “আপনি বেশ আত্মগোপন করতে পারেন, সেদিকে আপনি বাহাদুরী পেতে পারেন, নতুবা কি করে আফ্রিকায় নিগ্রোদের সর্বনাশ করতে পেরেছেন? এখন বলুন আমাদের কথায় রাজি আছেন কি?” অতি মিষ্ট স্বরে অতি মধুর কথায় বিনয় নম্রভাবে আমাদের বাবাজী বললেন, “নিশ্চয়ই খেলবেন।” আমরা প্রত্যেকে পনের শিলিং করে চাঁদার পাতায় সই করে দিলাম!

 দুতিন দিনের পরই হয়ত আমরা সাউথ্‌হাম্‌টনে পৌঁছব। আজ প্রভাতী খানা খেয়েই সবাই খেলায় লেগেছে। আমরা উপরে গিয়ে একটা বেন্‌চে বসে নানারূপ খেলা দেখছিলাম। মাঝে মাঝে আমরাও খেলায় যোগ দিয়েছি। আমাদের খেলার সাথী হত সাধারণত ইহুদীই।

 ইহুদীরা আমাদের সংগে খেলার সময় বেশ হাসত, আমোদ করত, আর দেখাত তারা আমাদের বন্ধু। আমার সাথী দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতবাসী, সে বুঝতে পারত না কে ইহুদী এবং কে ইউরোপীয়ান, তাই সে সকলকে সমানভাবেই ঘৃণা করত। অনেক দিন তাকে বলতে বাধ্য হয়েছি, একটি ব্যক্তিবিশেষকে ঘৃণা করা যায় তা বলে একটা জাতের উপর এতটা বিদ্বেষ অন্যায়। অর্থ-পিশাচরূপে ইহুদীদের যে বর্ণনা সেক্সপীয়ার দিয়ে গিয়েছেন তাঁর শাইলক চরিত্রে তা সত্য হতে পারে কিন্তু ইহুদীদের মধ্যেও অনেক মহাপুরুষ আছেন, যাঁরা পৃথিবীর কল্যাণের জন্য অনেক মহৎ কাজ করে গেছেন।