পাতা:আজাদী সৈনিকের ডায়েরী - মুলকর.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
৭১

২৩শে অক্টোবর ১৯৪৩:

 আজ ভারতের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। জাপান গভর্ণমেণ্ট নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে গঠিত আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টকে স্বীকার করিয়াছেন। ঘোষণায় বলা হইয়াছে—‘জাপানী গভর্ণমেণ্ট অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টকে স্বীকার করিতেছেন এবং এতদ্বারা ঘোষণা করিতেছেন যে ইহার উদ্দেশ্যের সাফল্যের জন্য সকল প্রকার সম্ভবপর সাহায্য করিবেন।’

 আজ আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট গ্রেটবৃটেন ও আমেরিকার যুক্ত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিলেন।

 টোকিও মিলিটারী একাডেমীতে সমর বিদ্যা শিক্ষার জন্য একদল শিক্ষার্থী লওয়া হইবে বলিয়া নেতাজীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি আজ প্রকাশিত হইয়াছে। দেখি — যদি আমি যাইতে পারি।

২৫শে অক্টোবর ১৯৪৩:

 আজ মালয় ও সিঙ্গাপুরের ভারতীয় বণিকদের এক সভা হইল। রাওএর সঙ্গে আমি সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতা শুনিতে গেলাম।

 সুভাষচন্দ্র বলিলেন—‘যুদ্ধের সময় দেশের সমগ্র ধন-সম্পত্তি এবং নরনারীর উপর দেশ ও জাতির দাবি অগ্রগণ্য। দেশের সঙ্কটজনক মুহূর্ত্তে বৃটেন, জার্ম্মাণি, রুশিয়া প্রভৃতি দেশে জাতির সমস্ত সম্পদ, কল-কারখানা, শিল্প ও বাড়ীঘর যুদ্ধের কার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছে। জনসাধারণ স্বেচ্ছায় অর্থদান করিতেছে এবং তাহাদের আয়ের প্রায় সবটাই দিতেছে আয়কর হিসাবে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য আমাদের প্রয়োজন সৈন্যদল ও আধুনিক রণসম্ভার—এরোপ্লেন, ট্যাঙ্ক, কামান। ইহার জন্য আবশ্যক প্রচুর অর্থের। আমরা যদি আজ জাপানের কাছে অর্থ চাহি—তাহারা