পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
৯৩

ভিতর বসিতেও পারে নাই এবং সমগ্র রাত্রি তাহাদিগকে দাঁড়াইয়া থাকিতে হয়। তাহাদের কোন পোষাকাদি ছিল না, এই অবস্থাতেই সমগ্র রাত্রি তাহাদিগকে অতিবাহিত করিতে হয়।

 পরদিন বেলা ১০।১১ টার সময় বন্দীশিবিরের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ১৪ জনকে পৃথক করিয়া রাখিয়া তাহাদিগকে বিদাদরী শিবিরে পুনরায় যাইবার আদেশ দেন।

 বিদাদরি শিবিরে ফিরিয়া আসিয়া গুর্খা বাহিনীকে পূর্বের মতই শ্রমসাধ্য কাজ করিতে হয়। বিদাদরীতে এক মাস রাখার পর তাহানিগকে পুনরায় আটক শিবিরে পাঠান হয়। গুর্খাদের আটক- শিবিরে আসার পরদিন হইতে শিবির কর্তৃপক্ষ তাহাদের উপর প্রহার আরম্ভ করেন এবং তাহাদিগকে দিয়া শ্রমসাধ্য কাজ করান হইতে থাকে। পাঁচ দিন এরূপ চলে।

 প্রথম দুই দিন তাহাদের জন্য কোন খাদ্যের ব্যবস্থা ছিল না। তৃতীয় দিন তাহাদিগকে আহার করিতে আদেশ দিল গুর্খারা তাহাদিগকে আটকশিবিরে ফিরাইয়া আনার প্রতিবাদ করিয়া বলে যে, তাহাদিগকে কোথায় রাখা হইবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাহারা আহার করিবে না। এখানে পাঁচ দিন রাখার পর তাহাদিগকে পুনরায় বিদাদরী শিবিরে লইয়া যাওয়া হয়।

 আটক-শিবিরের অধিকাংশ কর্মচারীই আজাদ হিন্দ ফৌজের লোক ছিল।

মিঃ আসফ আলীর জেরা

 মিঃ আসফ আলীর জেরার উত্তরে সাক্ষী বলেন যে ১৯৪১ সালের আগষ্ট মাস হইতে সিঙ্গাপুরের পতনের সময় পর্যন্ত সাক্ষীর সেনাদল মালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করিতেছিল।

 মিঃ আসফ আলী—কি শিক্ষা? জঙ্গল যুদ্ধবিদ্যা না পশ্চাদপসরণের বিদ্যা, না উভয়ই? (হাস্য)