পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১০৫

 প্রঃ—আপনাকে এই সমস্ত তারিখগুলি মুখস্থ করানো হইয়াছিল?

 উঃ—হ্যাঁ।

হাবিলদার গোলাম মহম্মদের সাক্ষ্য

 ২৯শে নভেম্বর ১।১৩ ফ্রণ্টিয়ার ফোর্স রাইফেলসের হাবিলদার গোলাম মহম্মদ তাঁহার সাক্ষ্যে বলেন যে, নেতাজী সুভাষচন্দ্র ১৯৪৫ এর জানুয়ারী মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজের পঞ্চম গেরিলা বাহিনী পরিদর্শন করিয়া বলেন—আজাদ হিন্দ ফৌজের বর্ত্তমান শ্লোগান ‘চলো দিল্লী’র সহিত আজ হইতে আরও একটি শ্লোগান যোগ করিতে হইবে—‘রক্ত, রক্ত—আরও রক্তপাত চাই’ উহার অর্থ হইতেছে ভারতের ৪০ কোটি নরনারীর স্বাধীনতার জন্য আমরা রক্তপাত করিব এবং ঐ একই উদ্দেশ্যে শত্রুরও রক্তক্ষয় করিব। আর সামরিক ভারতীয়দের শ্লোগান হইবে—‘সর্ব্বস্ব বলি দাও, সর্ব্বস্ব দান কর’।

 হাবিলদার গোলাম মহম্মদ বলেন যে, ১৯৪২ এর অক্টোবরে আজাদ হিন্দ্ ফৌজে যোগদানের পর তাহাকে প্রথম গোলন্দাজ বাহিনীর কোয়ার্টার মাষ্টার নিয়োগ করা হয় পরে তাহাকে পঞ্চম গেরিলা রেজিমেণ্টে স্থানান্তরিত করা হয়। মেজর ধীলন এই বাহিনীর দ্বিতীয় অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৪৪ সালে জুলাই মাসে এই বাহিনী ব্রহ্ম ফ্রণ্টে প্রেরিত হয়। ডিসেম্বরে ক্যাপ্টেন সেহগল বাহিনীর অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। পঞ্চম গেরিলা রেজিমেণ্ট পরে দ্বিতীয় পদাতিক রেজিমেণ্টে রূপান্তরিত হয়।

সুভাষচন্দ্রের নির্দ্দেশ

 ১৯৪৫এর জানুয়ারীতে নেতাজী পঞ্চম গরিলা বাহিনী পরিদর্শন করিয়া একটি ঘোষণায় বলেন—গত বৎসর শত্রুদের সহিত আজাদ হিন্দ ফৌজের রণাঙ্গনে প্রথম সাক্ষাৎকার হয়। ফৌজ আশাতীত গৌরবজনক কাজ করিয়াছে এবং