বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১১৯

দেয়। অত্যন্ত সঙ্কটপূর্ণ সময়ে সে জাতীয় বাহিনী ত্যাগ করিতে চেষ্টা করে এবং অপরকেও ঐরূপ করিতে বলে। তাহার চেষ্টা সফল হইলে সে আমাদের গোপন খবর বৃটিশকে দিত এবং ইহাতে আমাদের গুরুতর ক্ষতি হইত। ইহা অত্যন্ত মারাত্মক অপরাধ। কেবলমাত্র জাতীয় বাহিনীর আইন অনুসারে নহে, সমস্ত সভ্যজগতের সামরিক আইন অনুসারেও এইরূপ অপরাধে আসামীর প্রাণদণ্ড হইয়া থাকে। তবে আমি তাহাকে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করিয়াছি—এ সংবাদ ঠিক নহে। মযম্মদ হোসেনকে আমার নিকট উপস্থিত করা হইলে আমি তাহাকে বলি যে, সে যে অপরাধ করিয়াছে তাহাতে তাহাকে গুলী করা উচিত। যাহাই হউক আমি তাহার ব্যাপারটা রেজিমেণ্টের অধিনায়কদের হাতে ছাড়িয়া দেই।” জাপানীদের হাতে ধরা পড়িবার পর ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ একসময়ে জাপানীরা জাতীয় বাহিনীকে নিজেদের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করিবে—এই আশঙ্কা করিয়া ভিতর হইতে উহা ভাঙ্গিয়া দিবার উদ্দেশ্য লইয়াই জাতীয় বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছিলেন।

 সুভাষচন্দ্রের কথা উল্লেখ করিয়া শাহ নওয়াজ বলেন যে, আমি একজন সত্যকার নেতার দর্শন লাভ করিয়াছিলাম এবং তাঁহাকে অনুসরণ করাই আমার কর্ত্তব্য বলিয়া জীবনের চরম সঙ্কল্প বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলাম।

 যখন আমার মনে হয় যে ভারতের লক্ষ লক্ষ নরনারী ইংরাজ কর্ত্তৃক নির্ম্মমভাবে শোষিত হইতেছে তখন আমার সমস্ত মন বিদ্রোহী হইয়া উঠে। ভারতে বৃটিশ শাসন অন্যায়, অবিচার ও অমর্য্যাদার উপর প্রতিষ্ঠিত। এই অনাচার, অত্যাচার ও অবিচার দূর করিবার, আমার জীবন, গৃহ, পরিবার পরিজন ও আজীবনের শাসন সংস্কার বিসর্জ্জন দিতে বদ্ধ পরিকর হইয়াছিলাম।

 “আমি আজ আপনাদিগকে এবং আমার স্বদেশবাসীকে জানাইয়া দিতেছি