উত্তর:—আমি ঐ সময়ে বৈদেশিক বিভাগে ছিলাম এবং আমি সরকারীভাবে এই কথা শুনিতে পাইয়াছিলাম; কিন্তু এই অনুরোধ লিখিতভাবে করা হইয়াছিল, না—মৌখিকভাবে করা হইয়াছিল তাহা আমি জানি না।
সাক্ষী আরও বলেন যে, ১৯৪৩ সালের অক্টোবর মাসে এই ব্যাপার ঘটিয়াছিল। সাক্ষী মনে করেন যে, ঐ সময়ে সুভাষচন্দ্র বসু জাপানে ছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুর এইরূপ অনুরোধ সম্বলিত কোন কাগজপত্র সাক্ষী দেখিয়াছিলেন কি না তাহা তাঁহার মনে নাই।
প্রশ্ন:—আমি আপনাকে বলিতেছি যে, জাপ সরকার সমর কৌশলের অস্ত্র হিসাবে শুধু নিজেরাই মানিয়া লন নাই, পরন্তু তাঁহার মিত্ররাষ্ট্রগুলির দ্বারাও অনুমোদিত করাইয়াছিলেন?
উত্তর:—আমার মনে হয়, জাপান তাহার মিত্ররাষ্ট্রগুলিকে অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট মানিয়া লইতে বলিয়াছিলেন, কারণ জাপান মনে করিয়াছিল যে, জাপানের পক্ষে উহা ভাল হইবে।
মাঞ্চুকুয়োর অনুমোদন সম্পর্কে সাক্ষী পূর্ব্বে যাহা বলিয়াছেন, তাহার উল্লেখ করিয়া স্যার নসিরবান জিজ্ঞাসা করেন যে, মাঞ্চুকুয়ো জাপ সামরিক কর্তৃত্বাধীনে ছিল কি না? সাক্ষী উত্তরে বলেন যে, তথায় জাপ সৈন্য ছিল বটে, কিন্তু মাঞ্চুকুয়ো সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র বলিয়া বিবেচিত হইত। সাক্ষী বলেন, নানকিং সরকারও অনুরূপভাবে জাপানীদের সাহায্যলাভ করিত।
প্রশ্ন:—নানকিং গবর্ণমেণ্ট ছিল তাঁবেদার গবর্ণমেণ্ট?
উত্তর:—জাপান নানকিং সরকারকে সাহায্য করিতেছিল। নানকিংও সম্পূর্ণ স্বাধীন বলিয়া বিবেচিত হইত।
প্রশ্ন:—কাহাদের দ্বারা বিবেচিত হইত?
উত্তর:—জাপান এবং তাহার মিত্ররাষ্ট্রগুলি দ্বারা।