পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

কথার উপর সাক্ষ্য চলে না। মিঃ দেশাই তাহার সমক্ষে এভিডেণ্ট এক্টের নজির তুলিবার পর ব্যাপারটা সোজা হইয়া যায়।

 পরে সাক্ষী বলেন শ্রীযুক্ত বসু তাঁহাকে জানান যে ভারতের স্বাধীনতা আদায়ের জন্যই তাঁহাদের সৈন্য ও অস্থায়ী সরকার প্রয়োজন। সাক্ষী আরও জাপ দক্ষিণ বাহিনীর কমাণ্ডারের অনুমতি অনুসারে তিনি ইম্ফল অভিযান পরিকল্পনা রচনা করেন।

 প্রঃ—উক্ত অভিযান আজাদ হিন্দ ফৌজের কি কার্য্যপন্থা ছিল?

 উঃ—আজাদ হিন্দ ফৌজ স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য পৃথকভাবে যুদ্ধ করিয়াছিল। জাপ নিয়ন্ত্রণে উক্ত বাহিনী পৃথক আক্রমণের ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিল। ১৯৪৪ সালে জানুয়ারী মাসে রেঙ্গুনে প্রথম গেরিলা রেজিমেণ্ট আসিয়া উপস্থিত এবং ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ উহার অধিনায়ক নিযুক্ত হন। ১৯৪৪ সালের মার্চ্চ মাসে উক্ত রেজিমেণ্ট যুদ্ধ এলাকায় গমন করে। উক্ত বাহিনীকে একটা নির্দ্দিষ্ট ব্যূহ ভেদ করিবার জন্য নিযুক্ত করা হইয়াছিল।

 প্রঃ—উক্ত এলাকায় আক্রমণ ভার একমাত্র শাহনওয়াজের উপর ন্যস্ত ছিল —না, জাপ অফিসার তাঁহার সহিত ছিলেন?

 উঃ—আমি ঠিক কিছু বলিতে পারি না। আমার মনে হয় উক্ত রেজিমেণ্টের সহিত একজন জাপানী যোগাযোগ অফিসার ছিলেন। তবে শাহ নওয়াজই উক্ত রেজিমেণ্টের কমাণ্ডার ছিলেন।

 প্রঃ—আজাদ হিন্দ ফৌজ ও জাপ বাহিনীর সম্মিলিত পরিচালনার জন্য কোন ব্যবস্থা বা বুঝাপড়া হইয়াছিল কি?

 উঃ—সাধারণতঃ যুদ্ধ অবর্ত্তমানে প্রত্যেকেই সম্পূর্ণ স্বাধীন ছিল। কেবল যুদ্ধকালে জাপ হাইকমাণ্ডের অধীনে আসিয়াছিল।

 প্রঃ—জাপ ও আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারত ভূমিতে পদাপূর্ণ করিলে ভারতের মধ্যে অধিকৃত ভূমি সম্পর্কে কোন ব্যবস্থা বা বুঝাপড় হইয়াছিল কি?