পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১৪৭

ফৌজে যোগদানে অনিচ্ছুক ও চতুর্থ ভাগে যাহারা অস্বীকার করিয়াছে তাহাদের নাম। প্রথম দুই দলকে খাওয়া পরা দেওয়া হইবে ও বাকী দুই দলকে যুদ্ধবন্দী হিসাবে জাপদিগের হতে ছাড়িয়া দেওয়া হইবে।

 উঃ—শ্রীযুক্ত বসু ও জাপ দক্ষিণ বাহিনীর সেনাপতির মধ্যেই উক্ত বুঝাপড়া হইয়াছিল বলিয়াই তাঁহার ধারণা এ সম্বন্ধে আমার ব্যক্তিগত কোন জ্ঞান নাই। তবে ফিল্ড মার্শাল তোরুচির নিকট হইতে ঐরূপ আদেশ জে, কাওয়াবির নিকট আসিতে আমি দেখিয়াছি। তারিখ বোধ হয় ১৯৪৪ সালের শরৎকাল হইবে।

 প্রঃ—শ্রীযুত বসু ও জাপ সরকারের ঘোষণার কথা আপনি কিরূপে জানিলেন?

 সাক্ষী বলেন যে, তিনি উহার বিন্দু বিসর্গ জানেন না।

 প্রঃ—আপনি জানেন কি যে হিকারী কিকানকে না জানাইয়া আজাদ হিন্দ ফৌজের কোন অফিসার বা যে কেহ সংবাদের আদান প্রদান করিতে পারিত না।

 উঃ—ঠিক উহার বিপরীতই ছিল। এরূপ কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না।

 প্রঃ—আপনি সাক্ষ্যে বলিয়াছেন যে লুণ্ঠিত দ্রব্য আজাদ হিন্দ সরকারে জমা দেওয়া হইবে। তাহাদের মধ্যে এই ব্যবস্থা হইয়াছিল?

 উঃ—ঘোষণ। প্রকাশিত হইবার পূর্ব্বে আমি শ্রীযুক্ত বসু ও হিকারী কিকাণের অধ্যক্ষ জেঃ ইয়ামামোতোর সহিত সাক্ষাৎ হয়। আমি শ্রীযুক্ত বসুর ঘোষণার অনুবাদ ও জাপ সরকারের মূল ঘোষণা দেখিয়াছি। ইহা ১৯৪৪ সালের কথা।

 শ্রীযুক্ত দেশাই জেরা করিলে সাক্ষী বলেন যে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ ১৯৪৪ সালের মার্চ্চের শেষে হাফাকালানে আসেন। উহা ইম্ফল অভিযানের অংশ বিশেষ।