পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
১১

 বার্লিনে অবস্থানকালে “World Federation” নামক একখানা ইংরেজী কাগজ তিনি সম্পাদনা করিতেন।

 তিনি ভারতের নানা ইংরেজী কাগজে প্রবন্ধ লিখিতেন। মহাত্মা গান্ধীর সহিত তাঁহার রীতিমত পত্র ব্যবহার হইত। “Young India” পত্রেও তিনি অনেক প্রবন্ধ লিখিয়াছেন।

 তাঁহার যে রাজনৈতিক মত তাহা তিনি তাঁহার এক বন্ধুর পত্রের জবাবে “World Federation” পত্রে ব্যক্ত করিয়া জানাইয়াছিলেন যে, প্রত্যেক ভারতবাসীরই কংগ্রেসে যোগদান করা উচিত এবং কংগ্রেসের আদর্শ অনুসারে উহার অনুজ্ঞা পালন করা উচিত।

 প্রেমমহা বিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশ করিয়া তিনি লিখিয়াছিলেন, “আমার ধর্ম্ম প্রেমধর্ম্ম, যদি আমি হিন্দু হই—তবে আমি মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান।”

 বহুদিন তাঁহার বিশেষ কোনও সংবাদ পাওয়া যায় নাই। মস্কো, কাবুল প্রভৃতি স্থানে তিনি আছেন বলিয়া শুনা যাইত। পরে সংবাদ পাওয়া যায় যে, জাপানে আছেন। টোকিও এবং কোবেস্থিত বৃটিশ বাণিজ্য দূতাবাসের কর্ম্মচারিগণ যখন তাঁহার কার্য্যকলাপ সম্পর্কে ঔৎসুক্য প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন, তখন তিনি তাহার প্রতিবাদ করিয়া বলেন যে, তিনি আফগানিস্থানের প্রজা।

 অতঃপর হনোলুলুতে হেডকোয়ার্টার স্থাপন করিয়া তিনি পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে লইয়া একটি রাষ্ট্র-সমবায় গঠনের উদ্দেশ্যে একটি নূতন কার্য্যে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁহার এই নূতন পরিকল্পনা সম্পর্কে বহু পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশিত হয় এইং এ সম্পর্কে নানারূপ মন্তব্য করা হয়। আর্য্যবাহিনী নামে পরিচিত ভারতীয়গণের সভাপতিরূপেই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 জেনারেল ম্যাক আর্থার যে ৩৯ জন লোককে গ্রেপ্তার করিবার আদেশ দিয়াছেন রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ তাঁহাদের অন্যতম। যুদ্ধবন্দী হিসাবে তাঁহাকে