পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৬
আজাদ হিন্দ ফৌজ

উক্ত পুলিশ অফিসারের সহিত আলোচনা করিয়া ব্রহ্ম দেশীয় পুলিশ যথাসম্ভব সংগ্রহ করিয়া তাহাদের সাহায্যে রাত্রে টহলদারী কার্য্য চালাইবার ব্যবস্থা করা হয়।

 চলিয়া যাইবার সময় জাপানীরা খাদ্য অঞ্চল ও খাদ্যশস্যের সমস্ত গুদাম খুলিয়া দিয়া চলিয়া যায়। ইহাতে গণ্ডগোল ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা ছিল। যেখানে যেখানে গুদাম ছিল সেই সেই জায়গায় আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রহরী মোতায়েন করা হইয়াছিল। ব্রহ্মদেশীয় মন্ত্রীসভা কর্ত্তৃক আহুত সভায় সাক্ষী যোগদান করিয়াছিলেন এবং আজাদ-হিন্দ ফৌজের কার্য্যধারা ব্যক্ত করিয়াছিলেন। এপ্রিল মাসের ২৫শে ২৬শে নাগাত সাক্ষী জানিতে পারেন যে, চলিয়া যাইবার সময় জাপানীরা সেন্‌ট্রাল জেলে অবরুদ্ধ বৃটিশ বন্দীদিগকে ছাড়িয়া দিয়া গিয়াছে। সাক্ষী উক্ত জেলে গিয়া প্রাচীন অফিসারের সহিত সাক্ষাৎ করেন, ও তাঁহার নিকট আজাদ হিন্দ ফৌজের দাখিলা বিবৃত করেন। তাঁহার নিকট আজাদ হিন্দ ফৌজের আত্মসমর্পণের কথা উল্লেখ করায় তিনি তাঁহাকে যথা কর্ত্তব্য পালন করিতে বলেন। ঐ সময়ে ব্রহ্মরক্ষী বাহিনীর একজন অফিসার তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিলে তিনি তাহাদের লইয়া উপরোক্ত বৃটিশ অফিসারের নিকট যান। এই ব্রহ্মরক্ষী বাহিনী বৃটিশ সৈন্যের সহযোগে কার্য্য করিতেছিল ও জাপানীদের সহিত ইহাদের অহিনকুল সম্বন্ধ ছিল। বর্ম্মী অফিসারটী রেঙ্গুনের দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করিলে উপরোক্ত বৃটিশ অফিসার তাঁহাকে সন্দেহ করেন এবং যে বৃটিশ কর্ত্তৃপক্ষের অধীনে তিনি কার্য্য করিতেছেন তাঁহার লিখিত ক্ষমতাপত্র দেখাইতে না পারায় আজাদ হিন্দ বাহিনী তাঁহার কার্য্য চালাইয়া যাইতে থাকে ৷

 ৩রা মে সাক্ষী জানিতে পারেন যে, মিজালাওনের নিকটে আজাদ হিন্দ ক্যাম্পের কমাণ্ডার ইঙ্গিত করিয়া একখানি বৃটিশ উড়োজাহাজ নামান। এই