পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শ্রীযুত ভুলাভাই দেশাইয়ের সওয়াল

 ১৭ই ডিসেম্বর প্রথম সামরিক আদালতে শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই তাঁহার সওয়াল আরম্ভ করেন। উক্ত সওয়াল উপলক্ষে তিনি বলেন যে, ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ, ক্যাপ্টেন সেহগল, ও লেঃ ধীলনের বিরুদ্ধে: সংগ্রাম পরিচালনা করার যে অভিযোগ আনা হইয়াছে, তাহার দ্বারা বিদ্রোহী আজাদ হিন্দ সরকারকে স্বীকার করিয়া লওয়া হইয়াছে।

 আন্তর্জ্জাতিক আইনের নজীর দেখাইয়া শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই বলেন যে, সংগ্রাম পরিচালনার কথা স্বীকার করার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রাম পরিচালনাকারী বিদ্রোহী সরকারকে স্বীকার করার কথা আপনা হইতেই আসিয়া পড়ে, এবং এই স্বীকৃতির অর্থ আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগ্রাম করার অধিকার মানিয়া লওয়া আর এই সংগ্রাম করার অধিকার স্বীকারের অর্থ সুষ্ঠুভাবে সংগ্রাম পরিচালনার জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজকে প্রদত্ত সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ও স্বাধীনতাকে মানিয়া লওয়া।

 শ্রীযুত ভুলাভাই দেশাই আধুনিক আন্তর্জ্জাতিক আইনের ব্যাখ্যা আইনের গ্রন্থাবলী হইতে উদ্ধৃত করিয়া তাঁহার যুক্তি সমর্থন করেন। তিনি তাঁহার স্বভাবসিদ্ধ ওজস্বিনী ভাষায় ইংলণ্ডের ইতিহাসের বিস্তৃত নজীর উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন যে, ভারতীয় সৈনিকেরা যদি ইংলণ্ডের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জার্ম্মানী, জাপান ও ইটালীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে পারে তবে পরাধীন শক্তির হাত হইতে স্বদেশ মুক্ত করিবার জন্য তাহারা কেন যুদ্ধ করিতে পারিবে না? আজাদ হিন্দ সরকার সুসম্পূর্ণ ও সংগঠিত ছিল। বৃটিশ শক্তির বিরুদ্ধে আজাদ হিন্দ সরকারের এই যুদ্ধ ঘোষণা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জ্জাতিক আইনসঙ্গত। এখানে কোন সাধারণ অসামরিক আইনের প্রশ্ন উঠে না। ধুদ্ধকালীন জরুরী