পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সাহায্য করিবে। এ্যাডভোকেট জেনারেল স্যার নসিরওয়ান আরও বলেন যে, জাপান, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আরও অন্যান্য স্থানের কোনটাই আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের নিকট সমর্পণ করে নাই। জাপানের এইরূপ করিবার কোন ক্ষমতাও ছিল না।

 স্যার নসিরওয়ান তাঁহার এই যুক্তির সমর্থনে ওপেনহিমের আন্তর্জ্জাতিক পুস্তক হইতে নজীর উদ্ধৃত করেন। তিনি এই সময়ে ১৯৪৪ সালের ২১শে জুন শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু কর্ত্তৃক কর্ণেল লোগনাধনকে লিখিত পত্রের কথা উল্লেখ করেন।

 তিনি বলেন যে, ১৯৪৪ সালের জুলাই মাস হইতে আপানীরা এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের ইউনিটগুলি পশ্চাদপসরণ করিতে আরম্ভ করে। এই সম্পর্কে ক্যাপ্টেন আর্শেদের সাক্ষ্য সমর্থন করিবার জন্য অতিরঞ্জিত করা হইয়াছে।

 কর্ণেল কীটসনের সাক্ষ্য লইয়া আসামীপক্ষ যে যুক্তি উত্থাপন করিয়াছেন সেই সম্পর্কে মন্তব্য করিয়া স্যার নসিরওয়ান বলেন যে, ক্যাপ্টেন সেহগল যে কোম্পানী কমাণ্ডারের নিকট আত্মসমর্পন করিয়াছিল, সেই কোম্পানী কম্যাণ্ডার তাহার নিজের ইচ্ছামতই আত্মসমর্পণ সর্ত্ত গ্রহণ করিয়াছিল।

 ক্যাপ্টেন সেহগল কর্ণেল কীটসনের নিকটই আত্মসমর্পণ করিয়াছিলেন।

 কর্ণেল হাণ্ট কর্ত্তৃক ভারতীয় সৈন্যদলকে জাপ-হস্তে সমর্পন সম্পর্কে ইতিপূর্ব্বে ক্যাপ্টেন শাহনওয়াজ যে বিবৃতি দিয়াছিলেন তৎসম্পর্কে স্যার নসিরওয়ান বলেন, জাপ কর্ত্তৃপক্ষের আদেশক্রমে কর্ণেল হাণ্ট অনুরূপ কার্য্য করিয়াছিলেন। এই সম্পর্কে তিনি ইহাও বলেন যে, যদি কর্ণেল হাণ্ট ভারতীয় সৈন্যদলকে কোন আদেশ দান না করিতেন তাহা হইলেও ভারতীয় সৈন্যদলকে জাপানীদের হস্তে আত্মসমর্পণ করিতে হইত। ভারতীয় যুদ্ধবন্দীদের গো-মহিষাদি জন্তুর ন্যায় জাপানীদের হয়ে অর্পণ করা হইয়াছিল বলিয়া আদালতে ক্যাপ্টেন শাহনওয়াজ যে বিবৃতি দিয়াছেন তাহার মধ্যে কোন যৌক্তিকতা নাই, কারণ বৃটিশ যুদ্ধবন্দীদের ও জাপানীদের হস্তে অনুরূপ ভাবে সমর্পণ করা হইয়াছিল।