পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৪
আজাদ হিন্দ ফৌজ

কোন প্রশ্ন উঠিতে পারে না। এই সম্পর্কে বলা যায় যে, আসামীগণ কেবল মাত্র যে সৈন্যদল পরিত্যাগ করিয়াছিল তাহা নহে, পরন্তু তাঁহারা রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়াছিলেন।

 আসামীদের সম্পর্কে বলা যায় যে, কেবল মাত্র বেসামরিক প্রজা তাহা নহে, উপরন্তু তাঁহারা ভারতীয় সেনা বিভাগে কমিশন প্রাপ্ত অফিসার ছিলেন। যদি তাঁহারা রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া থাকেন বলিয়া প্রমাণিত হয়, তাহা হইলে বলা যায় যে তাঁহারা পূর্ব্ব হইতে সৈন্যদল পরিত্যাগ করিয়া ছিলেন। ভারতীয় সেনাবিভাগ পরিত্যাগ করিয়া তাঁহারা রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণ। করিতে পারেন না।

 স্যার নসিরওয়ান বলেন যে, সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াও ইহা জানা গিয়াছে যে, ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের আদেশক্রমে মহম্মদ হোসেনকে হত্যা করা হইয়াছিল।

 অতঃপর তিনি বলেন যে, চারিজন সিপাহীকে হত্যা করা সম্পর্কে ক্যাপ্টেন সেহগলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হইয়াছে তৎসম্পর্কে আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ স্বরূপ দলিলাদি প্রদর্শন করা হইয়াছে। ক্যাপ্টেন সেহ্‌গলও তাঁহার বিবৃতি প্রসঙ্গে ইহা বলিয়াছেন যে, চারিজন সিপাহী সম্পর্কে তিনি প্রাণদণ্ডাজ্ঞা প্রদান করিয়াছিলেন, অবশ্য তিনি ইহাও বলিয়াছেন যে, তাঁহার আজ্ঞা কার্য্যে পরিণত করা হয় নাই। এই সম্পর্কে লেঃ ধীলনও বলিয়াছেন যে, প্রাণদণ্ডাজ্ঞা কার্য্যে পরিণত করা হয় নাই। কিন্তু ক্যাপ্টেন সেহগল এবং লেঃ ধীলন সম্ভবতঃ এই বিচার সম্পর্কে উপেক্ষা প্রদর্শন করিতেছেন। কারণ তাঁহারা ১৯শে মার্চ্চ ১৯৪৫ সালের এক বিশেষ সামরিক আদেশ পত্রের কোন উল্লেখ করেন নাই। উক্ত আদেশ পত্রে ইহা বলা হইয়াছে যে প্রাণদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত চারিজন সিপাহী ১৯৪৫ সালের ৬ই মার্চ্চ তারিখে প্রাণদণ্ড দেওয়া হইয়াছে এবং ঐ আদেশপত্রে ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজের স্বাক্ষর ছিল। এই সময় মিঃ