পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২১৭

কর্ত্তৃপক্ষ বিচার করিয়া দেখিবেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কার্য্যকলাপ সভ্য সমাজ প্রচলিত নিয়ম-কানুনের কতদূর পরিপন্থী হইয়াছে।

 লেঃ ধীলন নরহত্যার অভিযোগ হইতে এবং ক্যাপ্টেন সেহগল নরহত্যার সহায়তা করার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি পাইয়াছেন। তাঁহারা অন্যান্য নৃশংস কার্য্যকলাপের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন নাই। যদিও ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ খানের বিরুদ্ধে নরহত্যার সহায়তা করিবার অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে, তথাপি দণ্ড অনুমোদনকারী অফিসার অপরাধ অনুষ্ঠানকালীন অবস্থা বিচার ও বিবেচনা করিয়া দেখিয়াছেন।

 এরূপ অবস্থায় জঙ্গীলাট দণ্ড প্রদানের ব্যাপারে তিনজন আসামীর প্রতিই একরূপ ব্যবহার করা হইবে বলিয়া স্থির করিয়াছেন এবং এই হেতু তিনি অফিসারত্রয়ের প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডের আদেশ মকুব করিয়াছেন। কিন্তু যেহেতু রাজার প্রতি আনুগত্য বিসর্জন দেওয়া এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালনা করা সর্বাবস্থায়ই যে কোন অফিসার বা সৈন্যের পক্ষে গুরুতর অপরাধ, সেই হেতু দণ্ড অনুমোদনকারী অফিসার তাঁহাদের প্রতি চাকুরী হইতে বরখাস্তের এবং বকেয়া বেতন ও ভাতা বাজেয়াপ্ত করার দণ্ডাদেশ অনুমোদন করিয়াছেন। আইন মতে প্রতিষ্ঠিত যে কোন বর্তমান ও ভাবী গভর্ণমেণ্টের স্থায়িত্ব রক্ষার পক্ষে এই নীতি সমর্থন করা একান্ত প্রয়োজন।”