পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজাদ হিন্দ ফৌজ
২৯

সাক্ষীর মধ্যে এখন-ও ৮০ জনের বেশী সাক্ষীর সহিত সাক্ষাৎ করা হয় নাই। মালয় অভিযান সম্পর্কে ফীল্ড মার্শাল ওয়েভেলের রিপোর্ট ও আরও বহু অত্যাবশ্যকীয় দলিল পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হইবে। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও এখনও আসামীপক্ষ সমর্থনের জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থাগুলিও করা হয় নাই। ২৪শে অক্টোবর কর্ত্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নূতন অভিযোগপত্র উপস্থিত করেন। ফলে আরও বহু নূতন সমস্যা দেখা দিয়াছে। এই মামলার সহিত আইনের বহু জটিল প্রশ্ন জড়িত রহিয়াছে। মামলাটি অভিনব। সুতরাং আসামীপক্ষকে প্রস্তুত হইবার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই কারণে শুনানী তিন সপ্তাহ স্থগিত রাখিবার জন্য আবেদন করা হইতেছে।

 এডভোকেট জেনারেল স্যার এন, পি, ইঞ্জিনিয়ার বলেন যে, মুলতুবীর প্রস্তাবে তাঁহার আপত্তি নাই, আসামী পক্ষকে কোনরূপ বিব্রত করিবার ইচ্ছা সরকার পক্ষের নাই, তবে তাঁহার উদ্বোধনী বক্তৃতা ও প্রধান সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর শুনানী স্থগিত রাখিলেই ভাল হয় বলিয়া তিনি মনে করেন। কারণ প্রধান সাক্ষীর নিকট হইতেই মামলার আসল তথ্যগুলি জানা যাইবে। শুনানী স্থগিতের কাল কমাইবার জন্য তিনি আসামী পক্ষের কৌঁসুলীকে অনুরোধ করেন।

 শ্রীযুক্ত তুলাভাই দেশাই বলেন যে, এডভোকেট জেনারেলের প্রস্তাবে তাঁহার আপত্তি নাই, তবে স্থগিত রাখার সময় ন্যূনপক্ষে তিন সপ্তাহের কম হইলে চলিবে না।

মুলতুবী প্রস্তার সম্পর্কে কর্ণেল ক্রিন

 আদালতের গঠনতান্ত্রিক অবস্থা বর্ণনা করিয়া বিচারক এ্যাডভোকেট কর্ণেল ক্রিন বলেন যে, ভারতীয় সৈন্য এ্যাক্ট অনুযায়ী অবশ্যই আদালতকে