পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
আজাদ হিন্দ ফৌজ

সরাইয়া লইবার প্রায়োজন দেখা দেয় এবং এই সিদ্ধান্ত অনুসারে আমাদের সৈন্যগণকে আত্মরক্ষার পক্ষে অধিকতর অনুকুল স্থানে সরাইয়া লইয়া আসা হয়। আমরা এখন বিরতির সময় আমাদের উদ্যোগ আয়োজন এমনভাবে সম্পূর্ণ করিয়া তুলিব যে, আবহাওয়া ভাল হইবার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পুনরায় আক্রমণ আরম্ভ করিতে সমর্থ হইব।

 রণাঙ্গনের কয়েকটি অংশে শত্রুকে একবার পরাজিত করিবার পর চূড়ান্ত জয়লাভ এবং আক্রমণকারী ইঙ্গ-মার্কিন সৈন্যদলের ধ্বংস সাধন সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস ১০ গুণ বৃদ্ধি পাইয়াছে। আমাদের সমস্ত উদ্যোগ আয়োজন সম্পূর্ণ হইবামাত্র আমরা পুনরায় উন্নততর রণ-নৈপুণ্য অদম্য সাহস, কর্তব্যের প্রতি আমাদের অফিসার ও সৈন্যগণের অবিচলিত নিষ্ঠা লইয়া শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আক্রমণ চালাইব। আমরা নিশ্চয়ই জয়লাভ করিব।

 অতঃপর নির্দেশনামার উপসংহারে বলা হয়:—এই যুদ্ধে আমাদের যে সমস্ত বীর নিহত হইয়াছেন তাঁহাদের পরলোকগত আত্মা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের সংগ্রামের পরবর্তী অধ্যায়ে আমাদিগকে আরও বীরত্বপূর্ণ কার্য্য করিতে উৎসাহিত করিবে।


জাপ পররাষ্ট্র সচিবের নিকট শ্রীযুক্ত বসুর তার

 গত ১৯৪৪ সালের ৭ই জুলাই নেতাজী দিবস উপলক্ষে শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসু এবং ব্রহ্ম ও জাপানী পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে তারবার্তা বিনিময় হয়; লেঃ নাগ আদালতে তাহার অনুলিপি পেশ করেন। জাপ পররাষ্ট্র সচিবের নিকট শ্রীযুত বসুর তারবার্তা নিম্নরূপ:—আমাদের সম্মুখে যে দুর্য্যোগপূর্ণ সময় রহিয়াছে, তৎসত্ত্বেও আমি আপনাকে এই প্রতিশ্রুতি দিতেছি যে, জয়লাভ না হওয়া পর্য্যন্ত আমরা সকল অবস্থায় জাপানের সহিত একযোগে যুদ্ধ চালাইয়া যাইব।