পাতা:আজাদ হিন্দ ফৌজ - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
আজাদ হিন্দ ফৌজ

 উঃ—হ্যাঁ।

 প্রঃ—নিজের বুদ্ধি-বিবেচনায় আপনি যোগ দিয়াছিলেন?

 উঃ—ক্যাম্পে অনেককে বলিতে শুনিয়াছিলাম যে, এই অবস্থায় থাকার চেয়ে তাহারা ভারতের মুক্তির জন্য প্রাণ দেওয়াই স্থির করিয়াছে।

 সাক্ষী জানিতেন পোর্ট ডিক্সন ক্যাম্পের পরিচালক ক্যাপ্টেন রব নওয়াজ কিংবা করমচাঁদ ব্যাস স্বেচ্ছায় আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দেন নাই।

 পোপা সদর কার্য্যালয়ে ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় বৈঠকের পর কয়েজন আজাদ হিন্দ ফৌজ ত্যাগ করিয়া যায়। পরবর্ত্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাহাদিগকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তের পর ক্যাপ্টেন বেদী ব্যতীত আর সকলকে ছাড়িয়া দেওয়া হয়।

 শ্রীযুক্ত দেশাইর প্রশ্নের উত্তরে সাক্ষী বলেন যে, ক্যাপ্টেন শাহ নওয়াজ এক সপ্তাহের বেশী ডিভিসন পরিচালনা করেন নাই। শ্রীযুক্ত দেশাই জিজ্ঞাসা করেন, শাহ নওয়াজ ২৩শে ফেব্রুয়ারী আসিয়া ২৪শে ফেব্রুয়ারী চলিয়া যান এবং আবার ১২ই মার্চ আসেন, ইহা সাক্ষী জানেন কিনা।

 সাক্ষী—আমি বলিতে পারি না। শাহ নওয়াজ কখন আসিয়া কখন চলিয়া যান স্মরণ নাই। মিঙ্গলাডনে সুভাষ বসু বক্তৃতায় বলিয়াছিলেন যে, যাঁহারা রণাঙ্গনে যাইতে চাহেন না তাঁহারা থাকিয়া যাইতে পারেন। ইহার পর কি ঘটিয়াছিল আদালত সে সম্বন্ধে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। “কেহ কি পিছনে রহিয়া গিয়াছেন?” সাক্ষী বলেন, “সুভাষ বহু রেজিমেণ্ট পরিদর্শন করার পর জিজ্ঞাসা করেন, কেহ থাকিয়া যাইতে চায় কিনা। কেহই থাকে নাই।

নায়ক সন্তক সিং

 ইণ্ডিয়ান সিগন্যাল কোরের নায়ক সন্তক সিং তাহার সাক্ষ্যে বলে যে ১৯৪২ সালের ৩১শে জানুয়ারী জোহর বারুতে সে জাপানীদের হাতে যুদ্ধবন্দী হয়।