পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণ পয়সা । দোকানে যারা কাপড় কিনতে আসক্ত, তাদের জন্যে তামাক দেওয়া আর তাদের কাপড় গুছিয়ে দেওয়া তার দিনের বেলায় কাজ ছিল । সন্ধ্যার পর যখন দোকানে কোন খরিদ্দার থাকত না, সে সময়ে তাকে দোকানে খাতা লিখতে হ’ত। দুপুরে ঠাকুরবাড়ীর প্রসাদ আর রাত্রে দু’পয়সার জলপান এই DD uB DBDYSS LtDD S DBBgL DuDu BDB BB S DB DBBuBDBD DDD D S তিনি যে অনন্যসাধারণ মানস্বিতা ও সত্যনিষ্ঠার জন্যে পরে বরণীয় হ’য়ে গিয়েছেন, এই বাল্যকালেই তার পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। তিনি যে দোকানে কাজ ক’রতেন, সেই দোকানদারের অপর এক লোকের কাছে কাপড়ের হিসাবে কিছু পাওনা ছিল । এই পাওনা নিয়ে উভয় পক্ষে বিবাদ হওয়ায়, দোকানদার প্রতিশোধ নিতে দোকানের খাতা জাল ক’রে অপর পক্ষের কাছে অনেক দাবী করার মতলব করেন। দোকানদার হরিনাথকে এই পাতা জাল ক’রতে বলেন। বার বছরের বালক হরিনাথ এমন মিথ্যা কাজ ক’রতে স্বীকৃত হ’ন না । তিনি আমাদের বলেছিলেন, যখন তার কাছে এই প্রস্তাব ক’রলে, তখন ঘূণায় তাঁর সর্বশরীর শিউরে উঠেছিল। তিনি তখন ভুলে গেলেন যে, ভিক্ষার অন্নে তাকে উদরপূর্ণ ক’রতে হয়-দোকানের এই সামান্য চাকরীটি গেলে তার আর কোন উপায়ই থাকবে না। এক বোলা অনাহারেই কাটাতে হবে, কাপড়ের অভাবে দিগম্বর হতে হবে-এ কাম কষ্টের কথা নয় । কিন্তু তখনই তার প্রাণের মধ্যে থেকে কে ক’লে উঠল, ছি, ছি। অমন কাজ কর না, জাল করা মহাপাপ। বার বছরের ধালকের মনে তখন অমানুষিক বলের সঞ্চার হ’ল । তিনি সেই মুহুতেই দোকানের চাকরী ত্যাগ ক’রে চলে এলেন। সত্যের ওপর এই অবিচলিত শ্রদ্ধা, হৃদয়ের ভেতর দেবতার বাণী এই দিন থেকে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তাকে পরিত্যাগ করে নি। আর কোন দিন কোন বিদ্যালয়ে লেখাপড়া না শিখেও, কাঙ্গাল হরিনাথ অদ্বিতীয় সাহিত্যিক ও অশেষ শাস্ত্রজ্ঞ হয়েছিলেন । এইবার আমার লেখাপড়া শিক্ষার কথা বলি। পূর্বেই বলেছি যে, আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়ম লঙ্ঘন করে আমি পাঠশালার পরিবর্তে প্রথমেই বাঙ্গলাস্কুলে প্রবেশ করি। আমাদের গ্রামে তখন একটি উচ্চশ্রেণীর ইংরাজী স্কুল ছিল। हेरशाखौ ठूल १थन প্রতিষ্ঠিত হয়, তখনকার একটি গল্প ঐ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, আমাদের গ্রামের সে সময়ের সর্বপ্রধান ধনী পরলোকগত মথরোনাথ কুণ্ডু মহাশয়ের মুখে আমি শুনেছিলাম। তিনি বলেছিলেন-“আমাদের এ অঞ্চলের