পাতা:আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম (১৯৫৭).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
আনন্দীবাঈ ইত্যাদি

তোমাদের জানা দরকার। রূপকথার সবটাই মিথ্যে এমন বলা যায় না। যা ঘটে তাই কতক কতক রটে।

 নিকুঞ্জ-পত্নী ঊর্মিলা বললেন, আচ্ছা শীতুমামা, রাক্কুসী সুয়োরানী, পাতালপুরীর রাজকন্যা, সোনার কাঠি রূপোর কাঠি, কামরূপ-কামিখ্যের মায়াবিনী যারা ভেড়া বানিয়ে দেয়—এ সবে আপনি বিশ্বাস করেন?

 —কিছু কিছু করি বইকি, বিশেষ করে ওই ভেড়া বানাবার কথা যা বললে।

 নিকুঞ্জ-কন্যা ইলা বলল, ভেড়ার কথাটা খুলে বলুন না শীতুমামা।

 —নাঃ থাক। নুটুর মায়ের যখন আপত্তি।

 নিকুঞ্জ ঘোষ বললেন, লোকের কৌতূহলে খোঁচা দিয়ে চুপ করে থাকা ঠিক নয়, খোলসা করে বলে ফেলাই ভাল।

 সুরুচি বলল, বেশ তো, শীতুমামা ভেড়ার গল্পটা খোলসা করেই বলুন, কিন্তু বেশী বেয়াড়া কথাগুলো বাদ দেবেন।

 শীতুমামা বললেন, নাঃ থাক গে। বরং একটু ভগবৎপ্রসঙ্গ হ’ক। ইলা ভাই, তুমি একটি রবীন্দ্রসংগীত গাও, সেই ‘মাথা নত করে দাও’ গানটি।

 সুরুচি বলল, অত মান ভাল নয় শীতুমামা। আমি মাপ চাচ্ছি, আপনি ভেড়ার গল্প বলুন।

 নুটু বলল, না, আগে সেই রাক্কুসী সুয়োরানীর গল্প হবে।

 সুরুচি বলল, তুই থাম খোকা। রাক্কুসীর চাইতে ভেড়াওয়ালী ভাল। বলুন শীতুমামা।

 শীতল চৌধুরী বলতে লাগলেন।—